শওগাত আলী সাগর: সেলিব্রেটিদের ইন্টারভিউ নিতে হলে গোমড়ামুখে (গম্ভীরভাবে) ভারি ভারি প্রশ্নই শুধু করতে হবে, হালকা রসিকতা, হাসি ঠাট্টা করে যাবে নাÑ এমন কোনো ব্যাকরণ সম্ভবত নেই। সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে মিডিয়ায় হাসি-ঠাট্টামূলক অনুষ্ঠান হয়, আজকাল ঈদের সময় মন্ত্রী-রাজনীতিকদের নিয়েও হয়। খেলোয়াড়দের নিয়েও সেটা হতে পারে, ক্রিকেটার হোক আর সাফ বিজয়ী নারী ফুটবলার হোক।
উৎপল শুভ্র সাফ বিজয়ী নারী ফুটবলারদের সাক্ষাৎকার নেননি, তাদের সাথে আড্ডা দিয়েছেন, সেই আড্ডার বাছাই করা অংশ প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে। লেখাটায় উৎপল শুভ্র নিজেও বলেছেন, দুষ্টুমি, খুনসুটি, ইয়ার্কি, হাসি, কখনো না বলেও মুখভঙ্গিতে অনেক কিছু বলাÑপুরোটা লেখায় ফুটিয়ে তুলতে পারব কি না, এ নিয়ে সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত তাই সিদ্ধান্ত নিই, সেই আড্ডার নির্বাচিত অংশ তুলে দেওয়াই ভালো। দুজনের বাচনভঙ্গিটা এতে থাকছে না, এটাই শুধু আফসোস।’
আমার নিজের কাছেও মনে হয়েছেÑ সানজিদা- কৃষ্ণার সাথে উৎপল শুভ্রর আড্ডার ভিডিওটা থাকলেই ভালো হতো। ‘দুষ্টুমি, খুনসুটি, ইয়ার্কি, হাসি- ঠাট্টার’ আড্ডায় আমি আনন্দই খুঁজেছি, অন্য কিছু না। তবে সেই আড্ডায় খেলার বাইরে সানজিদা- কৃষ্ণাদের মেন্টাল ম্যাচিউরিটি, সেন্স অব হিউমার এবং মানুষের সাথে আলাপচারিতায় এনগেজমেন্ট ক্যাপাসিটি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। সত্যি বলতে কি, দুষ্টুমি, খুনসুটির আড্ডা নিয়ে লেখায় আমি ‘জেন্ডার সেনসিটিভিটি’, সাংবাদিকতার ব্যাকরণ খুঁজতে যাইনি (এটা ফর্মাল ইন্টারভিউ হলে অবশ্যই খুঁজতাম।)।
লেখক: কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :