পুলক ঘটক: সামনেই দুর্গাপূজা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আগাম শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সঙ্গে সরকার এবং দেশবাসীর কাছে ছোট ছোট কয়েকটি জিজ্ঞাসা, গত বছরের দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলা, হত্যা ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার কীর্তিময় ঘটনাবলীর তদন্ত ও বিচার কতো দূর? সঙ্গে আমার জানার ইচ্ছা, মোহাম্মদ ইকবালরা হনুমানের মূর্তির পায়ে কোরআন শরিফ রেখে আসলে ধর্মীয় অনুভূতি আহত হয় কিনা? ঘটনাটি গাঁজাখোর ইকবাল একা ঘটিয়েছে বিশ্বাস করা কঠিন। পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশে তাকে দিয়ে করানো হয়েছে বলেই মনে হয়। এই ইকবালদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা হয়েছে কয়টা? ইকবালদের বাড়িঘরে চড়াও হয়েছে কয়জন?
ইকবালদের বিরুদ্ধে তৌহিদী জনতার মিছিল হয়েছে কয়টি? এবারের প্রস্তুতি কী? আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর মনে ক্ষত এখনো দগদগে। তারা চিৎকার করে এর প্রতিবাদ জানানো অধিকার রাখে কিনা? প্রতিকার চাওয়ার অধিকার রাখে কিনা? আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর এই সংঘবদ্ধ চিৎকারকে কী সাম্প্রদায়িকতা বলবেন? সরকার ও সুশীল সমাজসহ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আপামর বাঙালির ভূমিকা কী? আত্ম-জিজ্ঞাসা কর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। দেশের হিন্দুরা যখন তাদের মেয়েদের সম্পত্তির অধিকার দিতে নিরাপত্তার ভয় পায়, তাদের নারী ও সম্পত্তি নিরাপদ নয় অভিযোগ তোলে তখন কি কেউ লজ্জা পায়? সংখ্যালঘুরা বিশ্বাস ও আস্থা হারালো কেন? কেন তারা প্রতিবেশীকে যখন বন্ধু ও সুরক্ষার কবচ না ভেবে বিপদভাবে। সন্দেহ ও অবিশ্বাসের চোখে দেখে? বিষয়টি লজ্জাজনক কিনা? গ্রামের নিরীহ মানুষগুলো প্রতিবেশীকে ভয় পাবে কেন? আপনার প্রতি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের কথা ভাবুন হে প্রতিবেশী। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :