আশরাফুল আলম খোকন: এ কথাগুলো কেউ বলে না। হয়তো সমালোচনা করে অথবা তোষামোদি করে। এসবের মধ্যেও কিছু সত্য থাকে। আমাদের মেয়েরা আগেও ফুটবল খেলেছে। তবে আজকের যে গৌরব, তা দীর্ঘ এক যুগের পরিকল্পনার ফসল, ২০১০ সালে সাফে নারী ফুটবল শুরু হবার পর থেকেই। এই স্বপ্ন মাথায় রেখেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গোল্ড কাপ ফুটবল চালু করেছিলেন। ২০১১/২০১২ সালের সেই ক্ষুদে তারকারাই আজকের সাফ জয়ী মহাতারকা। যেমনটা, নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট দিয়ে আমরা ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য পেয়েছিলাম।
কাল (২১ সেপ্টেম্বর) প্রেস কনফারেন্সের ছবি নিয়ে অনেক বিতর্ক। আমি রাতে (নিউইয়র্ক টাইম) যতক্ষণ জেগে ছিলাম ততক্ষণ চেয়ারে বসে ব্রিফিং করতে কোচ ও অধিনায়ককেই দেখেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মহাবিতর্ক, তারা কেন দাঁড়িয়ে! পরে দেখলাম, যারা ঝড় তুলছেন তারা অর্ধসত্য নিয়ে ঝড় তুলছেন। যা মিথ্যারই সামিল। কারণ মূলব্রিফিং পর্যন্ত কোচ ও অধিনায়ক চেয়ারেই বসে কথা বলেছেন। আসলে প্রেস কনফারেন্স একপাল লোকের কোনো প্রয়োজন ছিল না। মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বাফুফের অকর্মা সভাপতি, কোচ ও অধিনায়কের জন্য চারটি চেয়ার থাকলেই চলতো। বিতর্ক এড়ানো যেতো।
গৌরব বয়ে আনা এই তারকাদের প্রতি উদার হতে বাফুফে কার্পণ্য করেছে। নিশ্চিত থাকেন দেশে ফিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিকে হতাশ করবেন না। দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা আমাদের বোনগুলোও অনেক সম্মানিত হবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা এমনই... এই প্রমাণ বহুবার রেখেছেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :