ফরিদ আহমেদ: বাংলাদেশিদের এখন জাতীয় শত্রু হচ্ছেন বাফুফের প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন। শত্রু হবার পিছনে যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণও আছে। সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েরা ফাইনালে জিতে যাওয়া পর্যন্ত বাফুফের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এমনকি কাপ জেতার কয়েকঘণ্টা পর্যন্তও তারা নিশ্চুপ ছিলো। পরে মানুষের গালিগালাজের পরে ঘুম ভাঙে তাদের। কাজী সালাউদ্দিন আর নির্বাহী কমিটির সদস্যরা খেলে কাপ জিতে এনেছে, এটা ভেবে বাফুফের পেইজ থেকে তাদের অভিনন্দন জানানো হয়। এরপর আরও গালিগালাজের ফলে তাদের মনে পড়ে যে কাজী সালাউদ্দিন এখন আর ফুটবল খেলেন না। তার বদলে ফুটবলের বারোটা বাজানোর খেলা খেলেন তিনি।
এনিওয়ে, কাজী সালাউদ্দিনের এই দুর্দিন আর একমাস থাকবে। তারপরেই তিনি আবার হিরো হয়ে যাবেন আমাদের সবার কাছে। আগামী মাসেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে রায়হান রাফির চলচ্চিত্র ‘দামাল’। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলাররা জন্ম দিয়েছিলো স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। ওই দলটা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় খেলে জনমত তৈরি করতো, একই সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থও সংগ্রহ করতো। সেই দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন তূর্য হাজরা। রায়হান রাফির চলচ্চিত্র মুক্তি পেলে তূর্য হাজরাসহ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সব সদস্য নতুন করে হিরো হবেন, এ ব্যাপারে নিশ্চিত আমি। তূর্য হাজরার হিরো হবার সাথে কাজী সালাউদ্দিনের হিরো হবার সম্পর্ক অনেকেই হয়তো ধরতে পারবেন না, বিশেষ করে অল্পবয়সীরা। তাদের জন্য বলছি, একাত্তরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে কাজী সালাউদ্দিন খেলেছেন তূর্য হাজরা ছদ্মনামে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :