মোকাররম হোসাইন: রাসূল (সা.) এর স্ত্রীরা পাশাপাশি ঘরে থাকতেন। সাহাবাদের মধ্যে যাদের একাধিক স্ত্রী ছিলো তারাও একত্রে থাকতেন। এমনকি আমাদের শৈশবে আমরা দেখেছি দুই স্ত্রী একত্রে এক বাড়িতে থাকতে। ঝগড়া ছিলো। হিংসা ছিলো। জেলাসি ছিলো। তবু এক বাড়িতেই থাকতেন। কারণ বিয়ে একটা সামাজিক প্রথা। ইসলামেও তাই। সেই কারণেই বিবাহে সাক্ষী জরুরি। বিয়ে স্রেফ একটা যৌনতার চুক্তি হলে সাক্ষ জরুরি হতো না। স্রেফ দুজন দুজনকে কবুল করে নিলেই হতো। এরা একদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে প্রথম স্ত্রীর সমান সামাজিক মর্যাদা দিতে পারছে না, অন্যদিকে গোপনে মাসনা কলোনীতে রাখতে হচ্ছে যেভাবে এক শ্রেণির বড়লোকেরা রক্ষিতা পোষে। যৌনতার বিনিময়ে ভরণপোষণ দেয়। স্ত্রীদের একত্রে রাখতে না পারা এইসব পুরুষদের আদতে সেই সামন্তবাদী কালের দাঢ্য পৌরুষ চরিত্র নেই। দুই স্ত্রী সামলানোর যোগ্যতা এদের নেই।
আমি বহুবিবাহ প্রথার বিপক্ষে না। যে সামলাইতে পারে সে করুক। এটা ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে দেখি। অসহায়, বিধবা ও ডিভোর্সড নারীদের একটা আশ্রয় হিসেবে বহুবিবাহের চর্চা থাকা বরং সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করে। তবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক জরুরত না থাকলে, বহুবিবাহ ভোগবাদের বেশি কিছু না। বহুবিবাহ প্রথার সাথে যে সামন্তবাদি কালের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক আছে সেই বিষয়টা আপনি ধরতে পারেন? জুন ৩, ২০২৪। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :