মিরাজুল ইসলাম: আমির খানের প্রডাকশন হাউসের কিরণ রাও পরিচালিত ‘লাপাতা লেডিস’ সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে দেখার পর যা মনে হলো সেটা প্রায় সবসময় হয়। কিছুদিন আগে দেখলাম ‘কাঁঠাল’। কমেডির আড়ালে সমাজ কাঠামো। ভারতে এমন ধাঁচের জীবনধর্মী, সমাজ সচেতন সিনেমাগুলোর মতো গল্প আমাদের দেশের বাস্তবতায় মিল থাকলেও আমরা কেন পারি না? কেন আমাদের সিনোমাগুলো একই ধাঁচের প্রেম-কমেডি, কিছুটা থ্রিলার, কিছুটা অভিনেতা অভিনেত্রীর ক্যারিকেচার, কিছুটা বাস্তব সমাজ থেকে নেওয়া হলেও এক গাদা মেলোড্রামা, কিছুটা ভায়োলেন্স, তাও তামিল ছবি থেকে ধার করা এবং বাকিটা মিডিয়া গিমিক। আমাদের দেশে অন্তত পাঁচজন নবীন পরিচালক আছেন যারা পারেন এই ধারার বাইরে কাজ করতে। কিন্তু তারা করছেন না রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারনে। তারা পারছেন না দেশে কোনো চলচ্চিত্র অবকাঠামো নেই বলে। তাদের লড়াই করতে হচ্ছে এফডিসি নামক তথাকথিত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মাফিয়াতন্ত্রের সঙ্গে।
আরো কিছু কারণ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে যে অল্প ক’জন পরিচালক টেলিফিল্ম, ওটিপি প্ল্যাটফর্ম, আঁতলামি ধারার নন-কমার্শিয়াল ছবি, ঝন্টু-অনন্ত জলিল ঘরানার বাইরে, কিংবা রাজনৈতিক প্রপাগাণ্ডার (পড়ুন আওয়ামী ধারা) ঊর্ধ্বে বড় পর্দার জন্য সিনেমা বানানোর চেষ্টা করছেন রায়হান রাফী তাদের মধ্যে অন্যতম। এখন জানতে পারছি রায়হান রাফীর নতুন সিনেমা ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেওয়া হয়েছে। কারণ সিনেমাটির কাহিনিতে সাংবাদিক দম্পতি ‘সাগর-রুনি’ হত্যাকাণ্ডের মিল পাওয়া গেছে। যদিও পরিচালক তা অস্বীকার করে আসছেন। বাংলাদেশের সিনেমা সাবালক হয়েছে ঠিকই সেই জহির রায়হানের আমলে। তবে অলিখিত শর্ত হচ্ছে, এখন জীবন থেকে কিছুই নেয়া যাবে না। লেখক ও চিকিৎসক
আপনার মতামত লিখুন :