শিরোনাম
◈ বিএনপি সব হারিয়ে এখন খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায়: ওবায়দুল কাদের ◈ ঢাকায় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ◈ মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৪ ◈ উপজেলায় প্রকাশ্যে ভোট দেয়ায় এমপি হাফিজ মল্লিককে ইসিতে তলব  ◈ লুর ঢাকা সফরে র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসানীতি তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আব্দুল্লাহ  ◈ বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের বৈঠক ◈ অন্যকে দিয়ে সাজা খাটানো সেই যুবলীগ নেতা নাজমুল কারাগারে ◈ দলীয় বিভাজন ভুলে রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের ◈ মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্ট 

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:৩২ রাত
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাষা ও সামাজিক অবক্ষয় 

মঈন চৌধুরী

মঈন চৌধুরী: আমাদের মস্তিষ্কে যেহেতু ভাষাভিত্তিক বিভিন্ন মাত্রার বিশ্বচিত্র বিদ্যমান, সেহেতু আমাদের সবার বিশ্ব আলাদা। দার্শনিক লুদভিগ হ্বিটগেন্সটাইন তাই বলেছেন, ‘I am my word’ বা ‘আমিই হলাম আমার পৃথিবী’। তবে সমাজকে বাসযোগ্য করার তাগিদে আমরা আমাদের নিজস্ব ভাষার বিশ্বকে অল্প মাত্রায় হলেও অন্যদের বোঝার মতো করে নেই। যদি তা না পারি তবে আমাদের প্রেম, ভালোবাসা, সমাজ, রাজনীতিসহ কোনো কিছুই সঠিক ভাবে চলবে না। তবে আমাদের সমাজে এমন অনেকে আছে, যারা পন্ডিতি ফলানোর জন্য সাধারণ সমাজে কঠিন কঠিন বা বিভেদ সৃষ্টিকারী শব্দ উচ্চারণ করে, আর কিছু না বুঝে কিছু লোক তাদের হাততালি দিয়ে তৈলমর্দন করে। এমন চরিত্র সমাজের জন্য একসময় পরগাছা হয়ে যায়।

আমাদের দেশে এমন পরগাছা ঘটনাই চলছে সেই আদিকাল থেকে। 

অজানা অচেনা সংস্কৃত শ্লোক আবৃত্তি করে সমাজকে জাত-পাতে বিভক্ত করা হয়েছে। মুসলমান সমাজ বিভক্ত হয়েছে হানাফি, হাম্বেলি, সাফি আর মালেকি মাজহাবে। তারপর এসেছে সোহ্রাওয়ার্দিয়া, নক্সবন্দিয়া, মুজাদ্দেদিয়া ইত্যাদির মত তরিকা। সনাতন সমাজে এসেছে ম্লেচ্ছ, যবন, নেড়ে’র মত সমাজ বিভক্তির ভাষা, মুসলমানরা এনেছে মালাউন আর কাফের। ছোটলোক, বড়লোক, আধুনিক, গাইয়া, প্রমিত,অপ্রমিত ইত্যাদি ভাষা হিসেবে সমাজে চালু আছে। ভাষার কাজ যখন একটি  একক প্যারাডাইম বা চেতনাকাঠামোতে সমাজকে বেধে রাখা, তখন আমরা সমাজ ভাঙনের জন্য নতুন নতুন ভাষার শব্দ দিয়ে বিভক্তির প্যারাডাইম সৃষ্টি করছি। 

এখন আমরা প্রগতিশীল, ছায়া-প্রগতিশীল, প্রতিক্রিয়া শীল, মৌলবাদী, জেহাদি, সাম্প্রদায়িক, স্বার্থপর, দুর্নীতিপরায়ন আর মূর্খ-গুণ্ডামি চেতনাসৃষ্ট ভাষার সমাজ, নিয়ে আমারা গড়ে তুলেছি আমাদের নিজস্ব পৃথিবী। অথচ আমাদের উচিত ছিল দেশপ্রেম আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস রেখে বাঙালির জন্য একটি মুক্ত সমাজ তৈরি করা। সব শেষে বলবো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আর দেশকে ভালোবেসে আমরা যদি আমাদের চেতনা, চিন্তা আর ভাষা প্রকাশের সমন্বয় না করি, যদি একটি  একক প্যারাডাইমের মুক্ত সমাজ তৈরি না করি, তবে আমাদের কপালে অনেক দুঃখ আছে। ২৭-৪-২৪। ফেসবুক থেকে 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়