জিয়া আরেফিন আজাদ: অ্যাম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির পরিচালনায় ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি বা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এই অস্বীকৃতি বা অসন্তোষের বিষয়ে দুই দলের খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারাই রয়েছেন। খেলা শুরুর আগে, খেলার মাঝে এবং খেলা শেষে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে আপত্তি ও টিকাটিপ্পনি কাটা হয়। মুশফিকুর রহিমের বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ নিয়ে পনেরো মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো আপত্তি দুই দল থেকেই এসেছে, যেটা কখনোই বাংলাদেশ ক্রিকেটে দেখা যায় না।
যত নিম্নমানের আম্পায়ারই হোক দুই পক্ষ সমান অসন্তুষ্ট, এটা অবাস্তব। জেসির ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে। এটা স্পষ্টতই মিসোজেনিস্ট আচরণ এবং জেসি ইভটিজিংয় শিকার (আইনের দৃষ্টিতে এটা যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে)। ক্রীড়াঙ্গনে নারী খেলোয়াড় ও কোচের সাথে অসদাচরণ ডাল-ভাত ব্যাপার। কেউ কখনো অনুতপ্ত হয়নি। এবারে প্রকাশ্যে ঘটেছে বলে দুই দলের কর্মকর্তারা, একটা সাফাইমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। জেসির ঘটনায় কিছু মিডিয়া হয়তো হেডলাইনে কারসাজি করেছে। কিন্তু মুশফিকুর-রিয়াদদের সাধু মনে করার সুযোগ নেই। বিসিবির উচিত জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া। তা না হলে পানি ঘোলা হবে। যৌন হয়রানির আরেকটি ঘটনা পার পেয়ে যাবে।
আরেকটি কথা বলতে হচ্ছে, অনুমানের উপর মুশফিকুর ও রিয়াদকে দোষী বলা ঠিক নয়। কিন্তু ব্যাটে, ট্রাউজারে স্টিকার লাগানো, জাতীয় দলের লোগোতে স্কচটেপ মারা ও অসংখ্য ঘটনায় তারা ক্রীড়াঙ্গনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। ... ঘটনায় মুশফিকুরের জড়িত থাকার এবং উসকানি দেওয়ার কিছু কিছু সংবাদ এসেছে। সিনিয়র ও আইকন খেলোয়াড় হিসেবে তার ভূমিকা দায়িত্বশীল ছিল না। তাই আগ বাড়িয়ে তাকে নির্দোষ প্রচার করা যাবে না। তদন্ত হবে কি না জানি না। হলেও হয়তো ধামাচাপা দেওয়া হবে। তবে এটা যে একটা খারাপ দৃষ্টান্ত হলো, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :