রউফুল আলম: ভারতে আইআইটি আছে ২৩টা। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেনো বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা মাস্টার্সের থিসিস করতে পারে বা গবেষণার কাজ করতে পারে সে বিষয়ে সরকারের উদ্েযাগ নেওয়া উচিত। প্রতি বছর অন্তত পাঁচশত স্টুডেন্টকে সুযোগ করে দিক। ভারতের সাথে আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য আছে। চুক্তি আছে। ভারতের বড়ো বড়ো কোম্পানিগুলো আমাদের দেশে ব্যবসা করে। সুতরাং সরকারের উচিত উদ্যোগ নেওয়া, শর্ত দেওয়াÑবাংলাদেশের স্টুডেন্টরা তাদের দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা শিখবে। শেখার সুযোগ দিতে হবে।
বাংলাদেশের অনেক মেধাবী স্টুডেন্ট পরীক্ষায় ভালো করে, জিআরই-টোফেল-আইএলটিএস স্কোর ভালো তুলে। কিন্তু সে অনুযায়ী দুনিয়ার বাঘা বাঘা প্রফেসরদের ল্যাবে কাজ করার সুযোগ কম পায়। তার প্রধান কারণ হলো, বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের ব্যাচেলর/মাস্টার্সের গবেষণা কাজ দুর্বল থাকে। এই জায়গায় ভারত-চীনের স্টুডেন্টরা অনেক এগিয়ে গেছে। সরকারের উচিত ভারত-চীন-দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে এই জায়গাগুলোতে কাজ করা। দেশ থেকে কি করে প্রতি বছর অন্তত দুই-তিন হাজার বিজ্ঞানের স্টুডেন্টকে সেসব দেশে ব্যাচেলর-মাস্টার্সের থিসিস ওয়ার্কে সুযোগ করে দেয়া যায়, সে বিষয়ে তদবির করা। আমি নিশ্চিত সরকারের লোকজন যদি সঠিকভাবে কাজ করে, লেগে থাকে তাহলে এটা সম্ভব। একটা উপায় বের করা যাবে।
অন্য দেশকে এতো এতো সুযোগ দিবো কিন্তু আমাদের অন্তত ভবিষ্যত বিনির্মাণের সুযোগ দিক তারা। বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা বিদেশে গিয়ে যথেষ্ট পরিশ্রম করে। যথেষ্ট ভালো ফলাফল করে। গবেষণায় ভালো করে। আগামী বিশ বছরে অন্তত দুই লক্ষ তরুণ গড়ে উঠুকÑসেরা হয়ে। তাহলে গবেষণার সংস্কৃতিতে একটা বিপ্লব আপনা আপনিই হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :