ফড়িং ক্যামেলিয়া: আমি মোট ১৯টা দেশে ঘুরেছি এবং নিজের ইনকাম করা টাকায় ঘুরেছি। শুভ, মানে আমার হাজবেন্ড এবং আমি যখন কোথাও ঘুরতে যাই তখন পাই পাই হিসাব থাকে। ট্যুর শেষে আমার টুরের খরচ আমি দিই, শুভরটা শুভ দেয়। আমার পায়ের স্যান্ডেল থেকে আমার ফ্ল্যাট, আমার গাড়ি আমার কেনা। শুভ আমাকে অকেশনে গিফট করে, মাঝে মাঝে আমি ওকেও ট্রিট দিই, ও আমাকে ট্রিট দেয়। গিফট ছাড়া আমরা অন্য সব জিনিসপত্র কেনাকটিতে, বিল শেয়ার করি। আমি ওর কাছ থেকে আমার নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছুই নিই না।
কেন নিই না? কারণ আমার নিজেকে বহন করার যোগ্যতা এবং সক্ষমতা দুটাই আমি পরিশ্রম করে নিজের জন্য অর্জন করেছি। সক্ষমতা না থাকলে ট্যুরে যাবো না, কিনব না , দরকার হলে পুরাতন টপস দিয়েই বছরের পর বছর কাটিয়ে দেব, কিন্তু কারো কাছ থেকে নেব না। এতে কি আমাদের প্রেম কমেছে? না, বরং বেড়েছে। ঘুমিয়ে গেলে পা টিপে টিপে ওয়াশরুমে যাওয়া হয়, যেন অন্য জনের ঘুম না ভাঙে। এয়ারপোর্টে শত শত লোকের মধ্যে কেউ কারো জুতার ফিতে বেঁধে দিতে আমাদের জাত যায় না, জ্বর হলে মাথার কাছে বসে থাকতে বিরক্তি আসে না। শুভ জানে ওর কখনো দরকার হলে আমি হাল ধরতে পারব, আমিও তাই জানি। আমরা একে অন্যকে ভালোবাসি।
মেয়ে মানুষের তেজ থাকতে হয়, জেদ থাকতে হয়, আর আত্ম-সম্মানবোধ প্রখর হতে হয়। যে মেয়ের মেরুদণ্ড সোজা থাকে, যে নিজের পয়সায় কেনা শাড়ি পরে, নিজের পয়সায় ট্যুর দিয়ে, বরফের পাহাড়ে দাঁড়িয়ে নিজের পয়সার কেনা ক্যামেরাটা জামাইয়ের হাতে দিয়ে বলতে পারে, ছবি তুলে দাও তো। সেই মেয়েকে ভেঙে দেওয়া সম্ভব না, তাকে ফেলে দেওয়া সম্ভব না, তাকে চাইলেই বলে ফেলা যায় নাÑআমি দিই বলেই এত ফুটানি করতে পার! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :