রবিউল আলম: আনন্দ-বেদনার স্ব-মিসরনে বাংলার মাটি স্পর্শ করেছিলেন জাতির পিতা ও তার কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন ছিলো বেদনার মাঝে আনন্দের পূর্বাভাস। মুক্ত স্বাধীন বাঙালি জাতির ইতিহাস। শত জনমের পরাধীনতার মুক্ত বাতাসের নিঃশ্বাস। চোখে জল ছিলো, মনে ছিলো আনন্দ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিলো স্বজনহারা, বুকফাটা কান্নার আওয়াজ। কুর্মিটোলা বিমানবন্দরের মাটি স্পর্শ করা মাত্র শেখ হাসিনার চোখের পানি বাংলার মাটিতে ঝরে পরার সাথে সাথে, আকাশের বৃষ্টি ও বাঙালির চোখের পানি ঝড়ো বেগে পড়ে একাকার হয়ে যায়।
১৯৮১ সালের ১৭ মে ৬০ মাইলের ঝড়েও একজন বাঙালিকে রাজপথ থেকে সরাতে পারেনি। বিমানবন্দর থেকে শেরে-বাংলা নগর ছিলো লোকে লোকারণ্য। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িতে জিয়াউর রহমান প্রবেশ করতে দেননি। শেখ হাসিনা দুই হাত দুলে ফরিয়াদ করেছিলেন, আল্লাহপাক কবুল করেছিলেন। আজ বিএনপির পরিণাম সে কথাই বলছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা, মা, ভাই ও ভাইয়ের বউদের হারিয়ে, বিদেশের মাটিতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তে কিছুটা আশার আলো দেখেছিলেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহষ করেন। প্রণব মুখার্জি ছিলেন গুরুদায়িত্বে।
আওয়ামী লীগের একাধিক গ্রুপে ভাগ হওয়ার সভানেত্রীর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন। বাকশাল বিলুপ্তির মাধ্যমে রাজ্জাক-মালেক আওয়ামী লীগের ঐক্য শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। একজন অসহায় নারী স্বজনহারা শেখ হাসিনাকেও পরিপূর্ণ রাজনীতিক হয়ে ওঠেন রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে।
দলের ভিতরে গাপটি মেরে থাকা মোশতাকের প্রেত্মাত্মা মুক্ত করে মুজিব সৈনিকদের ফিরিয়ে এনে সাংগঠনিক শক্তি অর্জন, উপদলের কোন্দল নিরসন। স্বৈরাচার, স্বেচ্ছাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছিলো কঠিন কাজ। বাংলার উন্নয়ন ও পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করতে চাই না, সই এ দেশের মানুষের সামনে। বিশ্ব রাজনীতি আজ শেখ হাসিনাকে অনেকটা অনুসরণ করছে। আওয়ামী লীগকে উৎখাত ও নিশ্চিহ্ন করার মনোবাসনা অনেকেরই আছে। জনগণের ভালোবাসা অর্জনের সামর্থ্য অর্জনের যোগ্যতা নেই তাদের। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মন খুলে বলতে চাই, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক বাংলার মেহনতী মানুষের। লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :