মনজুল হক: বেসরকারী ব্যাংক কাউন্টারে যেখানে একজনই চেক পাস করে ক্যাশ ডেলিভারি দেয়, সরকারি ব্যাংকে, বিশেষ করে সবচেয়ে বড় ব্যাংকে তিন জনের টেবিল ঘুরে চেক পাস হয়। কোনো একজন মোবাইলে ভিডিওতে ওয়াজ কিংবা ভাবী-দেবর কাহিনী দেখতে থাকলে একঘণ্টা শেষ।
আমি কখনো ইবনেসিনা, লাজফার্মা টাইপ ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনি না। আক্কেল হয়েছে। বিশাল লম্বা কাউন্টারে একাধিক সেলসম্যান থেকে একজনের কাছে গিয়ে প্রেসক্রিপশন দেবেন। সে উল্টেপাল্টে চোখ দিয়ে যেন কাগজটার ফটো তুলবে! তারপর কম্পিউটার টিপে দেখবে কোন তাকে আছে। ১৫/২০ মিনিট পর ওষুধ নিয়ে ফিরে আবার কম্পিউটার টিপে দাম বের করবে। তারপর আপনাকে ওষুধসমেত ক্যাশ কাউন্টারে ঠেলে পাঠাবে। সেখানে ক্যাশিয়ার একটা একটা করে স্ট্রিপ ধরে কীবোর্ড গুঁতিয়ে ক্যাশ স্লিপ বের করবে। এবার পেমেন্ট। ততোক্ষণে ঘণ্টা খানেক টাইম খাওয়া সারা। আপনি এক স্ট্রিপ প্যারাসিটামল কিনতে গেলেও এই একই ফর্মূলা।
অধিকাংশ ব্যাংকে একজন হাতুড়ি মেরে ভোমর দিয়ে টাকা ফুটো করার স্টাফ থাকে। ফুটো করে সুতলি দিয়ে আচ্ছা করে কষে বেঁধে আবার এপাশ-ওপাশ আঠা দিয়ে কাগজ সেঁটে দেয়। বান্ডিলের স্টাপল পিন খুলতে গেলে প্লায়ার্স-স্ক্রুড্রাইভার লাগবে। কাগজ ছিঁড়তে গিয়ে টাকা ছিড়েঁ গেলে আর এক হ্যাপা। থুথু দিয়ে টাকা গুনে পাছার তলে বস্তার নিচে গুঁজে রাখা জনগোষ্ঠির ডিজিটালাইজেশন এরকমই। কিচ্ছু করার নেই দাঁত কিটমিট করা ছাড়া। লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট
আপনার মতামত লিখুন :