আনিস তপন: বুধবার নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে 'নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর আইন বিধি ও প্রবিধান প্রয়োগ' শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণ সচেতন হলে অনিরাপদ খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের অভাব রয়েছে। এটি নিশ্চিত করাই এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, দেশে অনেক ভালো ভালো সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব খাদ্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি যিনি খাবেন তার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যারা ভেজাল খাবার তৈরি ও পরিবেশন করে তাদের বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করা ভোক্তার নাগরিক দায়িত্ব।
যদি কেউ ফরমালিনসহ অন্য যে কোন অননুমোদিত রাসায়নিক দ্রব্য ফলমূল, শাকসবজিসহ অন্যান্য খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য আইনে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ডের বিধান রয়েছে।
এছাড়া ফরমালিন নিয়ন্ত্রন আইন অনুযায়ী ফরমালিনের যে কোন অননুমোদিত ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসময় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, গ্রহণ ও পরিবেশন এবং বেশি লাভের আশায় হোটেল ব্যবসায়ীদের পচা, বাসি খাবার বিক্রি না করারও আহবান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :