মাজহারুল মিচেল: [২] বিএনপিকে ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন।
[৩] শাহরিয়ার আলম বলেন, একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশের গঠনতন্ত্রে ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না; এ রকম কাউকে দিয়ে শুধু শোভাবর্ধনের জন্য লোক দেখানো বা শোভাবর্ধনেরও প্রয়োজন নেই। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে ম্যান্ডেটরি না।
[৪] লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ নেতৃত্বাধীন কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য মিশনের মতো এটি একটি অগ্রগামী মিশন। তারা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে ফিরে গিয়ে এফোর্ট দেবেন। তারা একেবারে শেষ মূহূর্ত বা দেরিতে এসেছেন। কমনওয়েলথের যারা কর্তাব্যক্তি আছেন তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তারা আসবে কী আসবে না।
[৫] দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার বক্তব্যে কল্পনা আক্তার নামে বাংলাদেশের এক গার্মেন্টস শ্রমিক ও নেত্রীর কথা উল্লেখ করেছেন, এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে প্রতিমন্ত্রী জানান, কল্পনা আক্তার বাংলাদেশে একবারই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২০১০ সালে। তিনি একা নন, তার সঙ্গে আরও একাধিক শ্রমিক নেতা চাকরিরত অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাদের মামলাটি তুলে নেওয়া হয়। রানা প্লাজা ধসের পরে পশ্চিমা দেশের কিছু ক্রেতা যখন সেই ফ্যাক্টরিগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করল, তখন কল্পনা আক্তার এবং আরও দুয়েকজন মিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সেখানেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
[৬] তিনি আরও বলেন, কল্পনা আক্তার আমাদের কারণে বা অন্য কারও দ্বারা হুমকি পেয়েছিলেন, এই ক্ল্যারিফিকেশনটা (ব্যাখ্যা) আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চাইব। আমরা এটা অবশ্যই পরবর্তী আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জিজ্ঞেস করব।
[৭] বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে বিদেশিদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ দেখছেন না বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ।
[৮] কল্পনা আক্তারের নাম উল্লেখ করা হলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বাংলাদেশ কেন্দ্রিক ছিল না জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশ উল্লেখ করে কোনো বক্তব্য দেননি। আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, এই কমেন্টস গার্মেন্টস কেন্দ্রিক ছিল না। অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ওই বক্তব্য ছিল অ্যাপেক (এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন) সামিটে। এটা শুধুমাত্র গার্মেন্টস শিল্প বা টেক্সটাইল শিল্প বা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠকে নয়।
[৯] শাহরিয়ার আলম জানান, ইতোমধ্যে দ্বিপাক্ষিকভাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়েছে। বছরখানেক আগেকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন লেবার অ্যাটাশে নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ায় এবং ফ্যাসিলিটেড করায় বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :