মনজুর এ আজিজ: জাহাজ নির্মাণ শিল্প আগামীতে দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
বুধবার (৩১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমস্যা এবং সম্ভাবনাঃ বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে তুলনামূলক সমীক্ষা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে একথা জানান তিনি।
নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ৭৫০ মার্কিন ডলার থেকে ২৮৪০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য উন্নত বাংলাদেশ। ইতোমধ্য আমরা তৈরি পোশাকসহ বেশ কয়েটি সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি ও বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড বাংলাদেশ ভ্যালু প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। বর্তমানে আমাদের সম্ভাবনাময় সেক্টরগুলোর প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য আমরা নীতিমালাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ফার্নিচার, বাইসাইকেল, প্লাস্টিক প্রভৃতি শিল্পের ব্যাপারে পদক্ষপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের রয়েছে বিশাল সমুদ্র, সেখানে ব্লু-ইকোনমির অন্যতম সম্ভাবনার জায়গা। শিপিয়ার্ড ও শিপবিল্ডিং সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া ব্লু-ইকোনমি যথার্থ সুফল কোনভাবেই পাওয়া সম্ভব নয়। সেইজন্য আমরা শিপিয়ার্ড ও শিপবিল্ডিং সেক্টরের প্রতিবন্ধকতা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা চালিয়েছি। এই প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলেই, আগামীতে শিপবিল্ডিং সেক্টর হবে দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত। কেননা বিশ্ব বাণিজ্যের শতকরা ৮০ ভাগ বাণিজ্যই সংগঠিত হয় সমুদ্র পথে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে জাহাজ নির্মাণ শিল্প থেকে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে। এপর্যন্ত প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জাহাজ এক্সপোর্ট হয়েছে। ২০২৬ সালে এটি দাঁড়াবে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারে। সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারি তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ২০৪০ সালে এই শিল্প থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব হবে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
আপনার মতামত লিখুন :