শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৩, ০৯:৫০ রাত
আপডেট : ২৯ মে, ২০২৩, ০৯:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

আনিস তপন: বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সীমিত সম্পদ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারের প্রণীত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (ন্যাপ) ১১৩টি কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন দেশটির।

সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাস্তবায়ন এবং অর্জন করা বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন হবে। তাই বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশ থেকে সহযোগিতা ও সমর্থন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মোট বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাসের শতকরা দশমিক ৪৮ ভাগ কম নির্গমণ করলেও বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। 

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন, মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম এবং লস এন্ড ড্যামেজ এর জন্য তহবিল ব্যবস্থার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।

সাক্ষাতকালে সারাহ কুক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। 

বাংলাদেশের এনডিসি এবং ন্যাপ এর প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, সদ্যপ্রণীত মুজিব ক্লাইমেট প্রসপ্যারিটি প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই দেশ বিশ্বে জলবায়ু কর্মকাণ্ডে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। 

হাইকমিশনার এসময় বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম বেইজড এডাপটেশনের প্রশংসা করে বলেন, জলবায়ু কর্মকাণ্ডে ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না

এটি/টিএবি/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়