এম এম লিংকন: [২] নজরুলের সৃজনশীল কর্ম বাংলা সাহিত্যে তো বটেই, বিশ্ব সাহিত্যেও বিরল বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ । তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কবির গান ও কবিতা মুক্তিকামী মানুষকে অফুরন্ত প্রেরণা জুগিয়েছে।
[৩] ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা-আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তার লেখনি থেকেই জাতি অনুপ্রেরণা পেয়েছে। তিনি বাঙালির জাতীয় জাগরণের তূর্যবাদক ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রের রূপকার। বুধবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী এবং বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
[৪] জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ক্ষণজন্মা এ কবিকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।
[৫] তিনি বলেন, সাম্য, মানবতা, প্রেম ও প্রকৃতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অন্যতম পুরোধা। কবির ক্ষুরধার অগ্নিঝরা লেখনি শোষিত-নির্যাতিত ও বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার করে, শিক্ষাদেয় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী কবি। তিনি শুধু নিজের ধর্ম, সমাজ-সম্প্রদায়, দেশ ও কালের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকেননি, ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার জয়গান গেয়েছেন, নারীর অধিকারকে করেছেন সমুন্নত। তার সৃষ্টি সর্বজনের, সর্বকালের।
[৬] সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নজরুলের প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তাকে সপরিবারে বাংলাদেশে এনে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
[৭] রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস নতুন প্রজন্ম নজরুল চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে এবং দেশপ্রেম ও সততা দিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে অর্থবহ অবদান রাখবে।
আপনার মতামত লিখুন :