মহসীন কবির: [২] পদ্মাসেতু নিয়ে যড়যন্ত্রের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে ‘চুবানি’ দিতে বলেন। তবে গ্রামীণ টেলিকমের এই চেয়ারম্যান এরই মধ্যে চুবানি খেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ টেলিকম কর্মচারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী। ডয়েচে ভেলে ও সময়ের আলো
[৩] অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী আরও বলেন, “আগেই এই চুক্তি হয়েছে৷ আমি ফেসবুকে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী চুবানি দেওয়ার কথা বলার কারণে নাকি এটা হয়েছে৷ এই কথা ঠিক না৷ তার আগেই সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে৷ আসলে চুবানি দিয়েছি আমি৷”
[৪] তিনি বলেন “আমি যখন গত মার্চে কোম্পানি আইনে আদালতে গ্রামীণ টেলিকম অবসানের (উইন্ডআপ) আবেদন করি, তার পরের দিনই তাদের আইনজীবী আমাকে ফোন করে সেটেলমেন্টের প্রস্তাব দেয়৷ কারণ, গ্রামীণ ফোনের ৩৪% শেয়ার তাদের৷ বছরে তারা এক হাজার কোটি টাকা লভ্যাংশ পায়৷ কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এই লভ্যাংশ আর তারা পেতো না৷ এটাই হলো আসল চুবানি৷”
[৫] গ্রামীণ টেলিকম কর্মচারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘‘গ্রামীণ টেলিকম শেষ পর্যন্ত শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মচারীদের লাভের ৫% দিতে রাজি হয়েছে৷ এ নিয়ে আদালতের বাইরে উভয়পক্ষের চুক্তি হয়েছে৷ সে অনুযায়ী কর্মচারীরা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৷
[৬] পাঁচ বছরের আইনি লড়াই শেষে কর্মচারীদের দাবি করা ৪৩৭ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত ‘‘অলাভজনক’’ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম৷ এ কারণে ১৭৬ জন কর্মচারীর মামলাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ হবে৷ এ অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের মাধ্যমে৷ ১৭৬ জন কর্মচারীর প্রতিজন গড়ে দেড় কোটি থেকে তিন টাকা করে পাচ্ছেন৷
আপনার মতামত লিখুন :