সুজিৎ নন্দী: [২] ২৬৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাধীনতা স্তম্ভ পর্ব-৩ প্রকল্পের গণপূর্ত অধিদপ্তরের অংশের কাজ ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে গণপূর্ত অধিদফতর ১ লাখ ৭০ হাজার স্কয়ার ফুট গাড়ি পার্কিয়ের কাজ শেষ করেছে। বর্তমানে সাব স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের মঞ্চ ও স্যারেন্ডার মঞ্চের কাজ শেষ পর্যায়ে।
[৩] গণপূর্ত অধিদপ্তররের ১২৭ কোটি টাকা কাজের মধ্যে সিভিল ডিভিশনের কাজ ১০১ কোটি টাকা এবং ইলেকট্রিক ডিভিশনের ২৬ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে। এখন শেষ মহুর্তের কাজ চলছে।
[৪] গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার বলেন, প্রকল্পে আমাদের অংশের কাজ প্রায় শেষ বলা যায়। পুরো কাজটি কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
[৫] তিনি আরও বলেন, পুরো কাজ কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শুরুতেই গাড়ি রাখার জন্য বেইজমেন্টে গাড়ি পাকিং কাজ বেশ আগেই শেষ হয়েছে। তবে করোনায় সার্বিক কাজেই কিছুটা কাজের ব্যাঘাত ঘটেছে। সময় লেগেছে।
[৬] প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, কাজটির একাধিক ধাপ বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
[৭] প্রকল্পের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংশ্লিষ্ট নগর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল। তিনি বলেন, পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পুরো উদ্যানের চেহারা পাল্টে যাবে। নতুন রাইড দিয়ে বিশ্বমানের শিশুপার্ক তৈরি হবে।
[৮] তিনি বলেন, নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) হস্তান্তর করা হবে। আমাদের অংশের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
[৯] তবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বৈদ্যতিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। বৈদ্যতিক অংশের কাজ সঠিক সময়ে শেষ হলে মার্চের মধ্যে গণপূর্তের অংশ শেষ হতো।
[১০] একাধিক সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়ণ করতে ফুলের মার্কেট ভেঙ্গে ফেলতে বলা হয়েছে। শাহবাগ থানা দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। খুব শিঘ্রই থানা সরিয়ে ফেলা হবে। পুরো প্রকল্পের যে গতি তাতে আগামী বছর জুন মাসে শেষ হবে।
[১১] মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শাহবাগ থানা হস্তান্তর না হবার কারণে পুরো কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। একটি আবাসিক ভবন তৈরি হবে। যার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এরই পাশে ওয়াটার বডি ও ফেয়ারা তৈরিসহ অন্যপাশে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। যার প্রাথমিক কাজ চলছে। তৈরি হবে অত্যাধুনিক শিশুপার্ক। সরেজমিনে পার্ক পরিদর্শন ও স্বাধীনতা স্তম্ভ পর্ব-৩ প্রকল্প উদ্ধতন কর্মকর্তারা এতথ্য জানান।
[১২] বর্তমানে ফুলের মার্কেটের পেছন থেকে শাহবাগ থানার শেষ পর্যন্ত শিশুদের বিনোদনে জাতীয় শিশুপার্ক তৈরি হবে। পরিকল্পিত ভাবে স্থায়ী ভাবে ছোট ছোট ফুলের দোকান তৈরি হবে। যারা বর্তমানে ফুলের দোকান আছে তাদের মধ্যে থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :