শিরোনাম
◈ ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:১৭ বিকাল
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:১৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার আলোচনা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: দক্ষিণ আফ্রিকার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যান্ডিথ মাশেগো ডলামিনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। একই সঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য অভিন্ন। উভয় দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। 

এছাড়া কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফ এবং বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিগুণ কর এড়ানোর চুক্তি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াবে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, প্রতিমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন। বৃহস্পতিবার বিজনেস ইউনিটি সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, সংগঠনটি বাংলাদেশি চেম্বারগুলোর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, পারস্পরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। প্রতিমন্ত্রী সম্ভাবনার মূল্যায়ন ও ব্যবসায়িক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন চেম্বারের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা বিজনেস কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডলামিনি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চ পর্যায়ের সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশি উভয়েই সহনশীল এবং উদ্যোগী মানুষ। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় পর্যটন, টেক্সটাইল এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে বাংলাদেশিদের স্বাগত জানান।

ডলামিনি উল্লেখ করেছেন যে উভয় পক্ষই যেহেতু সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছে, তাই সম্পর্ক আরও বিকাশের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বাড়ানো উচিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, সামাজিক উন্নয়ন, টেক্সটাইল, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং পণ্য সরবরাহ চেইন ক্ষেত্রগুলো সহযোগিতার সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ক্ষেত্র।

তিনি দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠকের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে উভয় পক্ষ কৃষি ও শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞান বিনিময় করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার বাংলাদেশি আবেদনকারীদের ভিসা পদ্ধতি সহজ করার চেষ্টা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন।

শাহরিয়ার আলম জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে সমর্থনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আরও কয়েকটি প্রার্থীর জন্য সমর্থন চেয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বিদ্যমান পর্যায়ের অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন এবং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার জন্য বেসরকারি খাতের আরও সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।

টিআই/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়