রহিদুল খান, চৌগাছা: গাঁজা বিক্রির জন্য নিজ হেফাজতে রাখার দায়ে যশোরের চৌগাছা থানা পুলিশের সাবেক এসআই হাসানুজ্জামানের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিনমাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এ আদেশ দেন। একই সাথে তিনি আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল সরদারের ছেলে। এ মামলায় অপর দুই আসামি হলো- কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল ইসলাম ও মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের মশিয়ার রহমান মশির ছেলে মো. শহিদকে খালাস প্রদান করা হয়।
সরকারি আইনজীবী আফরোজা সুলতানা জানান, যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা জানতে পারেন- আসামি নাজমুল ও শহিদ এলাকায় গাঁজা বেচাকেনা করছেন। পরে পুলিশ সোর্স নিয়োগ করলে ওই সোর্স গাঁজা কেনার জন্য যোগাযোগ করে শহিদ ও নাজমুলের সঙ্গে।
২০২০ সালের ১৫ জুন ক্যাম্পের এসআই দিবাকর মালাকরের নেতৃত্বে একটি টিম সাদা পোশাকে পালপাড়া মোড়ে অবস্থান নেন। কিছু সময় পর এসআই হাসানুজ্জামানসহ তিনজন দুইটি মোটরসাইকেলে পালপাড়া মোড়ে আসে। এ সময় তার পিঠে থাকা ব্যাগে দুই কেজি ও মোটরসাইকেলে থাকা আরেকটি ব্যাগে এক কেজি গাঁজা রয়েছে বলে জানায়।
দিবাকর পুলিশ পরিচয় দিলেই শহিদ পালিয়ে যায়। আর নাজমুল ও হাসানুজ্জামানকে আটক করা হয়। পরে হাসানুজ্জামান বলেন, তিনি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)। পরে ওই ব্যাগ খুলে দেখা যায় পুলিশের পোষাকের মধ্যে মোড়ানো অবস্থায় গাঁজা রয়েছে। এরপর হাসানুজ্জামান পিস্তল বের করার কথা বলে পুলিশের হাতে ব্যাগ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি যাচাই বাছাই শেষে হাসানুজ্জামানকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। এ সময় নাজমুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি কেশবপুর থানার পরিদর্শক শেখ ওহিদুজ্জামান তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার
প্রতিনিধি/একে/এএ
আপনার মতামত লিখুন :