মিনহাজুল আবেদীন: [২] ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটক দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম বড় কেলেঙ্কারির নায়ক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। শনিবার (১৪ মে) উত্তর চব্বিশ পরগনার একটি আদালতে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার এ আবেদন জানানো হয়। প্রথম আলো
[৩] এর আগে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া পি কে হালদার ও তার কিছু সহযোগীর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সম্পত্তিতে অভিযান চালায় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
[৪] পি কে হালদারের অন্য সহযোগীদের মধ্যে আছেন প্রীতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদারসহ আরো কয়েকজন। আজও এসব অভিযান চলছে।
[৫] দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা গেছে, পি কে হালদারের দখল করা চারটি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও রিলায়েন্স লিজিং (বর্তমান নাম আভিভা ফাইন্যান্স) থেকে তিনি ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। দেশ রূপান্তর
[৬] দুদক পি কে হালদারের প্রায় এক হাজার কোটি টাকার মূল্যের জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পদ ক্রোক করেছে। এ ছাড়া তার ও তার অর্থ কেলেঙ্কারির সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৪টি মামলা করেছে দুদক। এসব মামলায় পি কে হালদারসহ আসামি ৮০ জন। এর মধ্যে ১২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা বর্তমানে জেলে।
[৭] এ অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত আলোচিত পি কে হালদারের ৮৩ সহযোগীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। পি কে হালদারের ৬৪ সহযোগীর বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঢাকা পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :