শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২২, ০৬:১৯ বিকাল
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০১:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এনায়েতুল্লাহ্ খান ট্রাস্ট ফান্ড বাতিল

এনায়েতুল্লাহ্ খান

মিনহাজুল আবেদীন: [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রয়াত সাংবাদিক এ জেড এম এনায়েতুল্লাহ্ খানের নামে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘এনায়েতুল্লাহ্ খান স্মৃতি ট্রাস্ট ফান্ড’ সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়েছে। প্রথম আলো  

[৩] বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, এনায়েতুল্লাহ্ খানের বিরুদ্ধে থাকা সমালোচনার বিষয়টি তাদের জানা ছিলো না। ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি রাশেদ খান মেননের ‘রেফারেন্সে’ আসায় ফান্ডটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো।

[৪] গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতা বিভাগে ‘এনায়েতুল্লাহ্ খান স্মৃতি ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের কাছে ২৫ লাখ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন এনায়েতুল্লাহ্ খানের মেয়ে নাসরীন জামান। ওই অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রধান অতিথি ছিলেন। এনায়েতুল্লাহ্‌ খানের ভাই সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন জিয়া রহমান, সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহাম্মদ এবং এনায়েতুল্লাহ্ খানের আরেক ভাই আবু সালেহ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ খানও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

[৫] এই ট্রাস্ট ফান্ডের আয় থেকে প্রতিবছর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক এবং কয়েকজন মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে এনায়েতুল্লাহ্ খান স্মৃতি ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ফান্ড গঠনের অর্থের চেক হস্তান্তরের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অনেকেই সমালোচনায় সরব হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ অনেকেই বিষয়টির সমালোচনা করেন। সমালোচনায় শামিল হন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ ও এ এস এম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন সাদেকা হালিম। তারা বলেন, এনায়েতুল্লাহ্ খান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। বার্তা ২৪

[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ট্রাস্ট ফান্ডের বিষয়টি আমাদের খুব আপনজন সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের রেফারেন্সে এসেছিলো। আর এনায়েতুল্লাহ্ খানের ব্যাপারে তথ্যগুলো আমাদের জানা ছিলো না। তথ্য পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকেলেই এটি বাতিল করা হয়। এটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে ছিলো, বাস্তবায়িত হয়নি। এর ট্রাস্ট কমিটিও গঠিত হয়নি।

[৭] বৃহস্পতিবার খবর পেলাম যে বঙ্গবন্ধুর আমলে তিনি তার পত্রিকায় তথ্য বিকৃতি করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে ডিহিউম্যানাইজ করে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করেছেন। অর্থাৎ তাকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। যে ধরনের মূল্যবোধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপন্থী, সে ধরনের মূল্যবোধ অনুশীলনের কোনো সুযোগ নেই। তাই বৃহস্পতিবার বিকেলেই ফান্ডটি বাতিল করা হয়েছে।’

[৮] এদিকে এই ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানতেন না বলে জানিয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, ‘৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমাকে ১০ মে (মঙ্গলবার) এনায়েতুল্লাহ্‌ খান ট্রাস্ট ফান্ডের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। আমি চিঠিটি পাই ৯ মে। এ বিষয়ে আমি আগে থেকে অবহিত ছিলাম না।’

[৯] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এ জেড এম এনায়েতুল্লাহ্‌ খান ইংরেজি পত্রিকা হলিডে ও নিউ এজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি মন্ত্রী হয়েছিলেন। এছাড়া কয়েকটি দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। বিএনপির শাসনামলে ২০০৪ সালে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একুশে পদক পান এনায়েতুল্লাহ্ খান। ২০০৫ সালের নভেম্বরে তিনি প্রয়াত হন। বিডিনিউজ ২৪ 

[১০] সাংবাদিকতায় ভূমিকার জন্য বিএনপির সময়ে ২০০৪ সালে এনায়েতুল্লাহ খানকে একুশে পদক দেয়া হয়। ২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর তিনি মারা যান। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়