এম এম লিংকন: [২] আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো এ কপি পাবেন নাগরিকরা। নিজে তথ্য যাচাই করে স্বাক্ষর দিলে সে অনুযায়ী জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) প্রিন্ট হবে।
[৩] নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অতীতে হালনাগাদের পর অনেকেই অভিযোগ করতেন, তারা সঠিক তথ্য দিলেও ইসির কর্মীরা ভুল করেন। কিন্তু এবার সে সুযোগ থাকছে না। যিনি এনআইডির জন্য তথ্য দেবেন, তিনি নিজেই নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে নিজের দেওয়া তথ্য যাচাই করার আরেকটি সুযোগ পাবেন।
[৪] ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সহকারি সচিব মোশাররফ হোসেন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সকল উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে- নিবন্ধন কেন্দ্রে ডাটা এন্ট্রির পর আবশ্যকীয় ফিল্ডসমূহের যথা: নাম, পিতা/মাতা/স্বামী/স্ত্রীর নাম ও জন্ম তারিখ ইত্যাদি ডাটার একটি প্রিন্ট কপি ভোটারদের প্রুফ করে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। টাইপিং ভুল কমাতে এবারই প্রথম বারের মতো ভোটারকে একটি প্রিন্ট কপি দেখাতে হবে এবং তাতে কোনো ভুল থাকলে তা লিখে নিয়ে ভোটারের স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে। এবং নিবন্ধন ফরমের সঙ্গে শিক্ষা সনদ ও জন্ম সনদের ন্যায় এটিও ডাটাবেজে স্ক্যান করে সংযুক্ত করে রাখতে হবে। এজন্য প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন সেন্টারে একটি করে ডকুমেন্ট প্রিন্টারও থাকবে।
[৫] এ কার্যক্রমে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারীদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। অর্থাৎ ১৬ বছর বয়সীদের তথ্যও নেওয়া হবে। তারা পরবর্তীতে বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। এ কর্মসূচিতে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম কর্তন এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের আবেদনও নেবে ইসি।
আপনার মতামত লিখুন :