ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীতে উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন পরিষেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা-টোকিও চুক্তি হয়েছে। টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্টের ব্যুরো অব স্যুয়ারেজ এবং ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথরিটির (ডিডব্লিউএএসএ) মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দেশ রূপান্তর
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয় এই চুক্তির অধীনে উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে দু'পক্ষের মধ্যে এক বছরের সহযোগিতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এই উদ্যোগে অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ উপলক্ষে ডিডব্লিউএএসএ এবং টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্টের ব্যুরো অব স্যুয়ারেজ অংশীদারমূলক কার্যক্রম সম্পাদন করবে। জাপানের রাজধানী টোকিওতে এই উদ্যোগ নিয়ে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর দু'পক্ষের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংলাপে বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। তাতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। দলটি জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এবং টোকিওর গভর্নরের সঙ্গে উন্নয়ন পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে অংশ নেন স্থানীয় সরকার সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, ডিডব্লিউএএসএর এমডি তাকসিম এ খান এবং এডিবির সাউথ এশিয়া বিভাগের নগর উন্নয়ন ও পানি বিভাগের পরিচালক নারিও সাইতো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকায় দক্ষ ও মানসম্পন্ন পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি পরিকল্পনা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন এবং দক্ষ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া গুরুত্ব পাবে সমন্বিত পয়ঃনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের বিষয়গুলো।
সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হবে, পারস্পরিক উন্নত অনুশীলন, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দেওয়া। এ ছাড়া ডিডব্লিউএএসএ এবং টোকিও গভর্নমেন্টের মধ্যে ধাপে ধাপে মতবিনিময় হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে এডিবি পৃথক একটি বিশেষজ্ঞ গ্রুপকে কাজে লাগাবে, যারা ডিডব্লিউএএসএ কর্তৃপক্ষকে সহায়তা দেবে। এডিবির টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগ এই সহযোগিতায় অর্থায়ন করবে। এর আগে তারা জাপানের পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষকেও একই সহায়তা দিয়েছিল।
সফরে উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার বেশকিছু নিদর্শন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল জাপানে পরিদর্শন করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে কত খরচ হবে, সে ব্যাপারেও বিস্তারিত জেনেছেন। তারা টোকিওতে কিছু পয়ঃনিষ্কাশন প্লান্টও পরিদর্শন করেছেন। পরিবেশ ঠিক রেখে নগরে কীভাবে প্লান্ট স্থাপন করা যায়, সেসব বিষয়েও ধারণা পেয়েছে প্রতিনিধি দল। এ ছাড়া উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে জাপানকে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে, সে ব্যাপারেও ধারণা নিয়েছে তারা।
ডিআর/এইচ
আপনার মতামত লিখুন :