কূটনৈতিক প্রতিবেদক: বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত ও ইইউ ডলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় বাধাই বাংলাদেশে ইইউ বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে সীমিত করে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমস্যার সমাধান করাও গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশি বিনিয়োগের বাধাগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্তরায়।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ইইউ এর বাংলাদেশকে দেয়া একতরফা বাণিজ্য অগ্রাধিকার, যা বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নীত হওয়ার ফলে দেশের জিডিপিতে একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ক্ষতি এবং গুরুতর ধাক্কা লাগবে। যা জিএসপি প্লাস ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে কমানো যেতে পারে।
তিনি বলেন, ইইউ বাজারে দ্রুত জিএসপি প্লাস পাওয়ার প্রস্তুতি বাংলাদেশের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরবর্তী বড় ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই জিএসপি প্লাস সদস্যতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩২টি কনভেনশন অনুমোদন করেছে। এখন পরবর্তী ধাপ হলো বাস্তবায়ন। বিশেষ করে শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশে একটি ইউরোপীয় চেম্বার অব কমার্স খোলার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইইউ ডেলিগেশন প্রধান। যা ইতোমধ্যেই ভিয়েতনাম, ভারত ও সিঙ্গাপুরে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :