মনজুর-এ আজিজ: [২] মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরেক দফা কমালো বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার ২৫ পয়সা কমিয়ে প্রতি ডলারের মূল্য ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল মার্কিন ডলারের বিপরীতে আরও ২৫ পয়সা কমিয়ে টাকার মান ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়েও বাজারে দুই থেকে তিন টাকা বেশি দরে লেনদেন হচ্ছে।
[৩] ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকার মান কমিয়ে দিলেও বাজারে লেনদেন হচ্ছে বেশি দামে। বেশিরভাগ ব্যাংক ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সার সঙ্গে ৪ টাকা যুক্ত করে ৯০ টাকায় লেনদেন করছে। তাছাড়া ব্যাংক সংকট মেটাতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করতে না পেরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার রিজার্ভ থেকে আমদানি ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহ করছে।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আকুর (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) দায় মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত দুই মাসে (মার্চ-এপ্রিল) আকুর দায় পরিশোধ করতে হয়েছে ২২৪ কোটি মার্কিন ডলার, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। বছরখানেক আগে সামগ্রিক আমদানি দায় পরিশোধ করতে হতো সাড়ে ৩ বিলিয়ন থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার, এখন তা দ্বিগুণ। এ বছরের জানুয়ারিতে আমদানি দায় পরিশোধ করতে হয়েছে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার, আর ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার।
[৫] এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বাড়ছে। এছাড়া জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আমদানি খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার ব্যাংকগুলোকে জোগান দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :