শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২২, ০৩:৩৮ রাত
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২২, ০৯:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রস্তাব রাশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। মূলত দেশে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধনের সুবিধা না থাকায় নতুন এ প্রস্তাব দিলো মস্কো। জ্বালানি বিভাগের সূত্র বলছে, প্রস্তাব এসেছে বর্তমান বিশ্ববাজারের তুলনায় কম দামে জ্বালানি তেল পাওয়ার।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাশিয়া থেকে তেল আমদানির উপায় খুঁজে বের করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন জ্বালানি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তবে একইসঙ্গে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি না হয় সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশকে।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়তে থাকে জ্বালানি তেলের দাম। আর ঠিক তখনই মিত্রদের কাছে তুলনামূলক বেশ কম দামে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে রাশিয়া। পশ্চিমা চোখ রাঙানির মধ্যেও সে সুযোগ লুফে নেয় প্রতিবেশী ভারত, চীনসহ অনেকেই।

শুরুতে বাংলাদেশের কাছেও এসেছিলো কম দামে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার বিক্রির প্রস্তাব। কিন্তু দেশের রিফাইনারিতে রাশিয়ার ভারি অপরিশোধিত তেল পরিশোধনের সক্ষমতা না থাকায় তাতে সায় দিতে পারেনি জ্বালানি বিভাগ। আর এবার পরিশোধিত জ্বালানি তেলই বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চায় রাশিয়া।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিভিন্ন অফার পাচ্ছি। দাম তুলনামূলক কম।

এমন অবস্থায় মঙ্গলবারের (১৬ আগস্ট) একনেক সভায় রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়টি পর্যালোচনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও উড়িয়ে দেয়া যায় না, বিশ্ববাজারে আবারও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিপক্ষীয় মুদ্রা বিনিময়ের সুযোগ থাকার চাপ কমবে ডলারের ওপর। তাই রাশিয়ার প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরামর্শ জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি পরামর্শক প্রকৌশলী খন্দকার সালেক সুফী বলেন, কোন মুদ্রায় কিনবো? এর প্রতিক্রিয়া কি হবে? বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ দিন যত যাচ্ছে জ্বালানি তেলের কারণে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। সরাসরি যদি নাও কিনতে চাই, তাহলে যারা কিনছে তাদের কাছ থেকেও নেয়া যেতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই রাশিয়া থেকে তেল নিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে সময়োপযোগী মনে করলেও ভূ-রাজনৈতিক নানা ইস্যু বিবেচনায় নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটার পরামর্শ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। জোর দিচ্ছেন ভারসাম্যের কূটনীতিতে সমাধান খোঁজার ওপর।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, ইউরোপ এবং আমেরিকা কোন দৃষ্টিতে নিবে এটা একটা বড় বিবেচ্য বিষয়। তার কারণ আমাদের এক্সপোর্টের বড় মার্কেট ইউরোপ এবং আমেরিকা। তার ওপর এটার প্রভাব পড়বে কিনা, এটা আমাদের ভেবে-চিন্তে এগোতে হবে।

জ্বালানি তেল আমদানি ইস্যুতে রাশিয়া থেকে শিগগিরই একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

সূত্র: সময় অনলাইন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়