এম মাছুম বিল্লাহ দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি সাধন করেছে। এছাড়া রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদাও উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নত দেশের মর্যাদা পাচ্ছে। এই সময়ে আইনের শাসন ও দায়বদ্ধতায প্রতিষ্ঠায় নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুমুখী সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিতে জোর দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, অবশ্যই মত প্রকাশ, মানবাধিকার, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া টেকসই মানবাধিকার রক্ষার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনগুলো শক্তিশালী করতে হবে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) ‘মানবাধিকারের নতুন সীমান্ত: জলবায়ু ন্যায়বিচারের পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) সেমিনারের আয়োজন করে। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, এসডিজিতে বাংলাদেশের সফলতা অর্জন করলেও চরমভাবে জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এ অবস্থানে যাওয়ার পেছনে কিছু দেশ অন্যদের তুলনায় বেশি দায়ী। আমি মনে করি এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন রয়েছে।
অবশ্য জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেসিলেন্স ফান্ড, ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান ইত্যাদি নানা উদ্যোগ নিয়েছে। যেটা খুব প্রশংসনীয়। জলবায়ু ঝুঁকি এখন পুরো বিশ্ব মোকাবিলা করছে। জাতিসংঘ মহাসচিব এই ঝুঁকি মোকাবিলায় যুবদের সম্পৃক্ত করতে জোর দিয়েছেন।
বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ২০ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণ লোক বাস্তুচ্যুত হবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খুলনা এলাকায় লবণাক্ততা বেড়েছে। সেখানে কৃষি ও জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকায়ও আদিবাসী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, এই সফরে আমি কক্সবাজারে গিয়ে সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রত্যেকেই নিরাপত্তার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরতে চায়। তাদের ফেরত যাওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি। মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিবেশ এখন জটিল। এই অবস্থায় প্রত্যাবাসন করতে হলে সঠিকমতো করতে হবে। যদি এটি না হয় তবে তারা আবার ফেরত আসবে।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল বলেও উল্লেখ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার।
আপনার মতামত লিখুন :