মনজুর এ আজিজ: ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলনায়তনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল কর্তৃক প্রত্যূষে কনস্যুলেট চত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় শোক দিবসের সূচনা হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হতে পাঠ, শহীদদের স্মৃতিতে স্মরণ সভা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিনটি যথাযথভাবে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কনসাল জেনারেল এমজেএইচ জাবেদ, অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় প্রবাসী নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এরপর উপস্থিত সকলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-এর সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। অতঃপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা প্রধানমন্ত্রীর ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থেও আলোকে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদদের স্মরণে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশী এবং স্থানীয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তাগণ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিটি পর্বে স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের মহান আত্মত্যাগকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। একই সাথে বক্তাগণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের ঘৃণ্য, বর্বরও কাপুরুষোচিত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
সমাপনী বক্তব্যে কনসাল জেনারেল এমজেএইচ জাবেদ উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বাংলাদেশকে পূর্ণ অবয়ব দিতে প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০৪১ সামনে নিয়ে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী তাদেও জীবনমান উন্নতকরণের জন্য নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দেশ গঠনে প্রবাসীদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ইতালিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তকে ছড়িয়ে দিতে মিশন বদ্ধপরিকর। তিনি প্রবাসীদেরকে বঙ্গবন্ধু কর্ণার-এ নিয়মিত আসার আমন্ত্রণ জানান। তিনি অবহিত করেন, উত্তর ইতালিতে একটি প্রসিদ্ধ রাস্তা বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণের জন্য মিশন চেষ্টায় রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রবাসীদেরও সহায়তা কামনা করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী, কনস্যুলেটের সকল সদস্য এবং স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পরিশেষে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, দারিদ্র্যমুক্ত, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণের জন্য দোয়া করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :