মনিরুল ইসলাম: জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী বলেছেন, শোকের মাসে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হারানোর শোকের সাথে ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়াকে হারানোর শোক জাতিকে আরও বেদনাতুর করে তুলেছে। জাতির পিতাকে হারানোর পর দেশের রাজনীতিতে অনেক বড় শূণ্যতা তৈরি হয়েছিল, মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার মত বিজ্ঞ সংসদ সদস্যকে হারিয়ে সেই শূণ্যতা আরও বড় হল। দেশ, জনগণ, শিশু ও নিজ দায়িত্বের প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা আমরা লক্ষ্য করেছি তা অবিস্মরণীয়। পরিবারের শত প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি কখনো দায়িত্ব এড়িয়ে চলেননি বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগনের প্রতি তিনি ছিলেন নিবেদিত এক প্রাণ।
শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস কর্তৃক আজ জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় ককাসের সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু । বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি, রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, অপরাজিতা হক ও জাকিয়া তাবাসসুম, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) লাবণ্য আহমেদ, ডেপুটি স্পিকারের একান্ত সচিব আব্দুল মালেক, ফজলে রাব্বী মিয়ার কন্যা ফারহানা রাব্বী রিপা, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, সুইড বাংলাদেশের জাওয়াহেতুল ইমলাম মামুন, স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, এসকেএস’র সমন্বয়কারী আশরাফুল আলম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে মরহুম ফজলে রাব্বীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আলোচনা শেষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। গত ২৩ জুলাই ভোররাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়ার্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেপুটি স্পিকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিশু অধিকার শামসুল হক টুকু বলেন, সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া এ সংসদীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিশুদের আগামীর ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়ার জন্য শিশুর অধিকার নিয়ে সবসময় কাজ করেছেন। এছাড়া নারীর অধিকার, সামাজিক অধিকার, প্রতিবন্ধী ও সমাজের অবহেলিত শ্রেণীর উন্নয়নে নিজেকে সবসময় বিভিন্ন সংগঠনের সাথে নিয়োজিত রেখেছেন।
তিনি বলেন, এ সকল মানুষের জন্য আত্মোৎসর্গই হচ্ছে তাদের প্রতি ফজলে রাব্বী মিয়ার সত্যিকারের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ৭ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে ফজলে রাব্বী মিয়া জনমনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আপনার মতামত লিখুন :