শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট, ২০২২, ০৪:৩৫ সকাল
আপডেট : ০৬ আগস্ট, ২০২২, ১২:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন আজ

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই

ডেস্ক রিপোর্ট: দুদিনের সফরে আজ ঢাকা আসছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ওয়াং ইর এ সফরকে খুব তাত্পর্যপূর্ণ হিসেবেই উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা। সফর শেষে ৭ আগস্ট ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে তার। বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গিয়েছে, ৬ আগস্ট দিনের প্রথমভাগেই ঢাকায় অবতরণ করার কথা রয়েছে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।  এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ বর্তমানে সফর করছেন তিনি। তার এ সফর শুরু হয় গত ২৮ জুলাই। এ সময়ে উজবেকিস্তানসহ আরো দুটি দেশ সফর করেছেন ওয়াং ই। বাংলাদেশ সফরের পর তার মঙ্গোলিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র অনুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কম্বোডিয়ায় একটি সম্মেলনে রয়েছেন। সেজন্য বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আজ রাত ১০টা নাগাদ ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামীকাল বাংলাদেশ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ওয়াং ইর।

দুদিনের সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ-সংক্রান্ত তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়গুলোই স্মারক ও চুক্তিতে স্থান পাবে। তাইওয়ানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বন্দ্বের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এ সময়ে এমন সফরকে খুব তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাইওয়ান ও আন্তর্জাতিক আরো কিছু বিষয়ও এ সফরে বেশ গুরুত্ব পাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র বলছে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটির বাড়তি তাত্পর্য রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান সংকটের মধ্যেই তাইওয়ানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। বৈঠকে বৈশ্বিক ইস্যুতে বাংলাদেশের সমর্থন চাওয়া হতে পারে চীনের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর আলোচনাও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলবে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের মধ্যস্থতায় এ জাতিগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করে আসছে বাংলাদেশ। চীনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকও হয়েছে। রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। আর সেটা করার জন্য মিয়ানমারের ওপর চীনা প্রভাবকে কাজে লাগাতে সচেষ্ট বাংলাদেশ। এ প্রক্রিয়াতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব বলেই মনে করে ঢাকা। সে কারণে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাড়তি প্রাধান্য দেয়া হবে।

এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। সেই সফরের সময়ে সই হওয়া ২৭টি চুক্তির অগ্রগতি পর্যালোচনাও করবে দুই দেশ।

সূত্র বলছে, কভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা দেশে এসে আটকে পড়ে। এসব শিক্ষার্থী এখন আর চীনে ফিরতে পারছে না। চীনে ফিরে গিয়ে আবার পড়াশোনা শুরু করার জন্য সরকার থেকে উদ্যোগ নিতে দাবি জানিয়ে আসছে তারা। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিষয়টি আলোচনায় উঠতে পারে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরটি এই অঞ্চলে চীনা পক্ষের নিয়মিত সফরেরই একটি অংশ। তাই এ সফরকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনা করার একটি সুযোগ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পর এ প্রথম ওই দেশ থেকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য নেতৃস্থানীয় একজন বাংলাদেশ সফর করছেন। ফলে এ সফরকে খুবই বিশেষ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওয়াং ই বাংলাদেশ সফর করেছিলেন ঠিক। কিন্তু তার সেবারের সফরটি ছিল পুরোপুরি রোহিঙ্গাকেন্দ্রিক। ওই বছরে অনেক দেশের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ফলে এবারের সফরটি দুই দেশের কাছেই বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়