শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০২ রাত
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাবেক সেনাপ্রধান শফিউদ্দিনসহ ৩ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুম কমিশনে অভিযোগ

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সাবেক তিন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’তে অভিযোগ জমা পড়েছে। অন্য দুই সেনা কর্মকর্তা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন ও মেজর জেনারেল (অব.) মো. সারোয়ার হোসেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) এম সারোয়ার হোসেন গতকাল রোববার এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। তিনি আজ সোমবার প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অভিযোগে তিনি নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া গুমের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে গুমসংক্রান্ত কমিশনের কমিশনার ও কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু অভিযোগ তাঁদের কাছে জমা পড়েছে।

অভিযোগ দাখিলকারী আইনজীবী সারোয়ার হোসেন সাবেক তিন সেনা কর্মকর্তাকে স্বৈরাচারের দোসর, গুম–খুনের হোতা, গোপন বন্দিশালা (আয়নাঘর নামে পরিচিতি পাওয়া) সৃষ্টিকারী ও রক্ষণাবেক্ষণকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁকে গুম করার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর বেলা ১১টায় চা পানের কথা বলে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সদর দপ্তরে ডেকে নিয়ে যান। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় সেখানে তাঁকে গোপন বন্দিশালায় নেওয়ার ভয়ভীতি দেখানো হয়। যদিও ১১ ঘণ্টা আটকে রেখে তাঁকে ছেড়ে দেয়।

সারোয়ার হোসেনের ভাষ্য, তিনি ২০ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করার পর স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে ২০০৭ সালে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ২০০৮ সালে থেকে তিনি সুশাসন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে কথা বলছেন। বিশেষ করে দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনায় তিনি অংশগ্রহণ করেন।

অভিযোগে সারোয়ার আরও বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কোনো সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। তিনি যেহেতু গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারের কথা বলেন এবং ফ্যাসিস্ট শাসনের সমালোচনা করেন, সে জন্য ওই তিন সেনা কর্মকর্তা তাঁরা ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।

সাবেক সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন, মানবাধিকারবিরোধী অপরাধ এবং ২০২৪ সালে পাতানো নির্বাচনে সহযোগিতা করে গণতন্ত্র ধ্বংস করার অভিযোগ আনেন সারোয়ার হোসেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে সারোয়ার হোসেন ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ডিজিএফআইতে চাকরির সময় অগণিত মানুষকে গোপন বন্দিশালায় আটকে রাখা, কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পাতানো নির্বাচনে সহায়তা করে গণতন্ত্র ধ্বংস করা এবং পতিত স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর হওয়ার অভিযোগ এনেছেন।

মেজর জেনারেল (অব.) মো. সারোয়ার হোসেনের বিষয়ে আইনজীবী সারোয়ারের অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ডিজিএফআইয়ের পরিচালক থাকাকালীন তিনি গুম, খুনসহ নানাবিধ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ সংঘটিত করেছেন এবং সহযোগিতা করেছেন। তিনিও ছিলেন পতিত স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর। সূত্র : প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়