খালিদ আহমেদ: বিএম কনটেইনার ডিপোসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি তদারকি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার ১ মাস পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ১৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এছাড়া প্রতিবেদনের সঙ্গে ৩০০ পৃষ্ঠার বিভিন্ন নথি ও জবানবন্দিও জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনসহ ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে।
এই তদন্ত কমিটির প্রধান ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি তদারকি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বিস্ফোরণের কারণ, এর জন্য দায়ী ও সুপারিশকে সামনে রেখে তদন্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট ২৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ভর্তি একটি কনটেইনার থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত।
গত ৪ জুন রাতে সীতাকুন্ডের বি এম ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫০ জন মারা গেছেন এবং প্রায় দেড়শ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনা তদন্তে পরদিন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন।
কমিটিকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
আপনার মতামত লিখুন :