শিরোনাম
◈ নির্বাচনে পেশি শক্তি আর কালো টাকার খেলা চলবে না: জামায়াত আমির (ভিডিও) ◈ অপারেশন ডেভিল হান্টে আরও ৫০৯ জন গ্রেফতার ◈ বাধার মুখে  উত্তরায় বসন্ত উৎসব বাতিল: যা বলছে নাগরিক কমিটি ◈ পুরোদমেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে আদানি ◈ মুসল্লিদের ভিড় মসজিদে-মসজিদে, পবিত্র রজনীতে পাপ মোচনের আকুতি ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের ◈ আওয়ামী লীগ নেতা আমেরিকা পালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেফতার ◈ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের 'মোদিজী' 'মোদিজী' মাতম... ◈ এবার নিউজিল্যান্ডও খেলোয়াড় হারালো ◈ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতলে পাবে ২৭ কোটি টাকা, কোনো ম্যাচ না জিতলে পাবে ৩ কোটি ২০ লাখ

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৫৯ বিকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মতিউর ও তার পরিবারের ১১৬ অ্যাকাউন্ট, জমি ও ৪ ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ

মাসুদ আলম: [২] ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ২৩৬৭ শতাংশ জমি ও ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

[৩] বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

[৪] ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, সভারে ২৬.৬১ শতাংশ জমি, ভালুকায় ১০৪ শতাংশ, ভালুকায় মতিউরের ভাই এ এম কাইউম হাওলাদারের মালিকানাধীন গ্লোবাল সুজের ৯৫৮ শতাংশ জমি, গাজীপুরে আপন ভুবন লি. এর ৮৭৫.৯৫ শতাংশ জমি, নরসিংদীর শিবপুরে মতিউরের স্ত্রী লায়লার নামে ৩৮ শতাংশ, ছেলে অর্ণবের নামে ১২৬ শতাংশ, মেয়ে ইপ্সিতার নামে ৭২ শতাংশ, নাটোরের সিংড়ায় লায়লা কানিজের নামে ১৬৬ শতাংশ জমি। এছাড়া মিরপুরের শেলটেক বিথীকা প্রকল্পে ১৮১২ স্কয়ার ফুটের ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

[৫] স্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও শেয়ার বাজারে তাদের ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট, ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

[৬] দুদকের আবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে নিজ নামে বা অন্যান্য ব্যক্তির নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। 

[৭] তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এসব স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তিসমূহ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। সম্পাদনা: এম খান

এমএ/আইকে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়