শিরোনাম
◈ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভারতের দুই কোম্পানির ওপর, জব্দ করা হবে সম্পদ ◈ ১২ বছরে  শাজাহান খান গংরা লুটেছেন ১২ হাজার কোটি টাকা ◈ দিল্লিতে শেখ হাসিনা ‘গৃহবন্দী’ ইঙ্গিত দিলো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম (ভিডিও) ◈ যুবলীগ নেতা পুলিশ হেফাজত থেকে উধাও, ওসিসহ ৪ পুলিশ প্রত্যাহার ◈ বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিশেষ নিরাপত্তা আইন বাতিল ◈ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারতের সীমান্তে মৌমাছি মোতায়েন ◈ বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে কুপিয়ে হত্যা ◈ ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্কের পথে বড় বাধা সীমান্ত হত্যা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ সমন্বয়কদের কোন্দলে নরসিংদীতে সভা না করেই ফিরলেন সারজিস আলম (ভিডিও) ◈ ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্সে’ বাংলাদেশের ভূমিকা কী ?

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০২৪, ০৬:২৫ বিকাল
আপডেট : ৩১ মে, ২০২৪, ১২:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মূল পরিকল্পনাকারীকে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেতে অনুরোধ করেছি

একশ ভাগ সফলতা নিয়েই বাংলাদেশে ফিরছি: ডিবি প্রধান 

মাসুদ আলম: [২] ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কলকাতায় আমাদের তদন্তকাজ সফল হয়েছে। সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে যেসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়েছি, তা পেয়েছি।

[৩] বৃহস্পতিবার বিকেল কলকাতা থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন ডিবি প্রধানসহ প্রতিনিধি দল। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

[৪] তিনি আরও বলেন, আলামত উদ্ধার, পারিপার্শ্বিক ডিজিটাল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করায় আনার হত্যার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। দুদেশের গোয়েন্দাদের তথ্য সমন্বয় করে মামলার তদন্ত পরিচালনা করায় ফলপ্রসূ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।

[৫] হারুন বলেন, ‘মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। আরেকজন অভিযুক্ত নেপালে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। আমরা কাঠমুন্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করছি। শাহীনকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নিতে ভারতকে অনুরোধ করেছি।

[৬] এর আগে  কলকাতার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের হারুন অর রশীদ বলেন,  পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি ও কলকাতা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে শাহীন ও সিয়ামকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানানো হয়েছে। আমরা বলেছি, যেহেতু ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যার্পণ চুক্তি রয়েছে এবং যেহেতু তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের আছে, তাই শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনতে যেন তারা কথা বলে।  আমরা বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব। 

[৭] হারুন বলেন, আমরা তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কলকাতায় এসেছিলাম। আমরা যে মূল ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছি, তার কাছে থেকে পাওয়া তথ্য আমরা মিলিয়ে নেওয়ার কাজ করেছি কলকাতায়। দ্বিতীয়ত, ভারতে যে গ্রেপ্তার জিহাদ... তার সঙ্গে আমাদের কাছে থাকা মূল ঘাতকের কথা মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে শতভাগ মিলেছে আমাদের কাছে গ্রেপ্তার মূল ঘাতক ও ভারতে গ্রেপ্তার জিহাদের কথা। আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।

[৮] হারুন বলেন, ‘আমরা ওয়াটার থিওরি ব্যবহার করেছি। আমরা সিআইডি পুলিশকে রিকোয়েস্ট করেছি। আসামিদের ব্যবহৃত কমোড, সেপটিক ট্যাংক চেক করতে বলেছি। সেখান থেকেই মরদেহের অনেক অংশ উদ্ধার হয়েছে। যে উদ্দেশে এসেছিলাম আমরা কিন্তু একশ ভাগ সফলতা নিয়েই বাংলাদেশে ফিরছি।’

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়