শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০২২, ০৫:৩৯ বিকাল
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২২, ০৫:৩৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রকল্প চলাকালে পিডিসহ সংশ্লিষ্টদের কর্মস্থলে পাওয়া যায় না: পরিকল্পনামন্ত্রী

এম এ মান্নান

মাসুদ আলম: বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এক সেমিনারে এম এ মান্নান বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চলাকালীন সময়ে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের কর্মস্থলে পাওয়া যায় না। উপজেলা, জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে গেলে অনেক সময়েই ‘কি পারসনদের’ পাওয়া যায় না। এর কারণ খুঁজে বের করার প্রয়োজন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও অবস্থার উন্নতি হয়নি।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিকল্প নেই। প্রকল্প পঞ্চগড়, প্রজেক্ট পরিচালক ঢাকায় থাকেন। এটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? বরাদ্দ বা কাজের জন্য ঢাকায় হয়ত আসতে হবে, কিন্তু সার্বক্ষণিক ঢাকায় থাকা দরকার নেই। এটা আমাদের জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কাজের জায়গায় থাকতে চায় না।তিনি বলেন, শুধু প্রজেক্ট পিডি নয়, সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদেরও কাজের স্থলে পাওয়া যায় না। উপজেলা, জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে অনেক ‘কি পারসনকে’ আমরা পাই না। এর কারণ খুঁজে বের করার প্রয়োজন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কঠিন আদেশ দিয়েছেন, কিন্তু তারপরও আমরা অর্জন করতে পারছি না। আমরা বিষয়টি আলাপ করি, কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। আর একটি বিষয় বলি যার অধীন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে, সে আবার ঢাকায় বসে আছেন। 

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কী চান, সেটাও বুঝতে হবে। তার প্রধান এজেন্ডাই হচ্ছে বাংলাদেশ। যাদের দাতা বলছি, তারা দাতা নয়। দাতারা ঋণ দেয়, তা বলছি সহায়তা। এখন আর দাতা কেউ নেই। অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, আমরা আর বলতে পারছি না। আর সড়ক প্রকল্প নেওয়া হবে না। আমাদের বিদ্যমান সড়কগুলোর সংস্কার করব। মানুষ পারাপারের জন্য ওভারপাস কিংবা আন্ডারপাস করা হবে। আইএমইডিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিপিডি বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে দেখা যায় বারবার প্রকল্প সংশোধন হয়। এর ফলে সময় বাড়ানো হয়। উন্নয়ন প্রকল্পে সময় বাড়ানো মানেই ব্যয় বেড়ে যাওয়া। 

সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, উন্নয়নের সঙ্গে মানুষের লাইফ স্টাইলের পরিবর্তন হচ্ছে। সে কারণে অবকাঠামোগত উন্নয়নের আগে সুপরিকল্পনা থাকা জরুরি। গ্রামের অনেক রাস্তা রয়েছে, সেখানে মানুষ হয়ত ভবিষ্যতে থাকবে না। আমাদেরকে জনগণকে মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়