মনিরুল ইসলাম: জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, পদ্মা সেতু কোন রাজনৈতিক আইটেম নয়। রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটি গোটা বাঙালী জাতির গর্ব ও অহংকারের বিষয়। এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে গোটা পৃথিবীকে আমাদের আর্থিক শক্তি ও সক্ষমতার বার্তা ইতোমধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের সব থেকে বড় গৌরবের বিষয়।
রোববার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে প্যানেল সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের কাছে হিরকের চেয়েও বেশি মূল্যবান। এই পদ্মা সেতুতে বছরে প্রায় ৫ শ কোটি টাকা টোল আদায় হবে। টাকা আদায়ের উৎস হিসেবে পদ্মা সেতু তৈরি হয় নাই। জনগণের অর্থে, জনগণের কল্যাণের জন্য, জনগণের স্বার্থে পদ্মার ওপারের ৩ কোটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য এই সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আজ লুটেরাদের দখলে চলে গেছে। এ খাতে অবাধ লুটপাট চলছে। মনে হয় কেউ দেখার নেই। ব্যাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংস্থাগুলো নীরব। কীভাবে পি কে হালদার আট হাজার কেটি টাকা নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেল। বছরের বছর বছর এই টাকা সে চুরি করেছে। এটা তো একদিনে হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানে তো নিয়মিত অডিট হয় তাহলে এতগুলো টাকা গেল কীভাবে? ছয়জন বান্ধবীকে নিয়ে ১৩৩ বার বিদেশ ভ্রমন করেছে। কারো চোখে পড়েনি? দেশের টাকা বিদেশে গেছে। এই টাকা তো ফিরবে না। উচ্চ মুল্যস্ফীতি লাগামহীনভাগে বাড়তে থাকলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী উদারভাবে বলেছেন, ৭ শতাংশ কর প্রদান করে বিদেশ থেকে টাকা আনার প্রস্তাব অনৈতিক হলেও আমি সমর্থন করি। অর্থমন্ত্রীর সৎ পরামর্শ শুনে যদি কেউ আনে। আমার প্রস্তাব হচ্ছে ৭ শতাংশের পরিবর্তে ১২ শতাংশ করা হোক। তারা শিল্পকারখানায় বিনিয়োগ করবে এই মুচলেকা দিতে হবে।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, হঠাৎ করে দেখলাম গণতদন্ত কমিশনের নামে যাদের কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নাই, সাংবিধানিক ভিত্তি নাই এক সংগঠন ২২’শ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন দাখিল করলো দেশের ১১৬ জন আলেমের নামে। তাদের কাছে কী আছে? এই আলেমদের কি ঢাকা শহরে কোনো বাড়িঘর আছে? ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারা কোথায় তাদের বাড়ি? হাজার হাজার কোটি টাকা তারা কোথায় পাচার করছে? মানি লন্ডারিং মামলা তাদের বিরুদ্ধে কেন হবে?
তিনি বলেন, এই যে খোঁচা দেয়, সামনে আমাদের নির্বাচন। এদের (গণকমিশন) পিছে কি লোক আছে? এদের পিছে কি ভোট আছে? এরা ২২’শ পৃষ্ঠার একটা প্রতিবেদন করলো। সারাদেশে ঘুরলো এই করোনার মধ্যে দুই বছর। এই টাকাটা তারা কোথায় পেলো? এই টাকার উৎস কোথায়? এইটা আমরা জানতে চাই।
আপনার মতামত লিখুন :