শিরোনাম
◈ আদানির দুই ইউনিট থেকেই ২৫ জুন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ◈ বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রদীপ এখনো নিভেনি: ওবায়দুল কাদের ◈ ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পেল জামায়াত ◈ এবার ‘বৃহত্তর নেপাল’ মানচিত্রে বাংলাদেশ! ◈ ইউক্রেনকে ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিতে যাচ্ছে আমেরিকা ◈ সিরাজুূল আলম খানের প্রতি  শ্রদ্ধা নিবেদন বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইটে ◈  ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত ◈ বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন: তথ্যমন্ত্রী ◈ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: মির্জা ফখরুল ◈ বৈশ্বিক কারণেই বিভিন্ন সমস্যা চলছে, শিগগিরই সংকট কেটে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২৩, ০৬:৫৭ বিকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০২৩, ০৬:৫৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আব্দুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে লন্ডনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

স্মরণসভা

জুবায়ের আহমদ, লন্ডন: একুশে গানের রচয়িতা, প্রখ্যাত লেখক ও কিংবদন্তি সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে লন্ডনে স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, তিনি বাংলা ভাষাকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত আগলে রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট এই কিংবদন্তী সাংবাদিক আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করেছেন।

শুক্রবার (১৯ মে) পূর্ব লন্ডনের লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব অফিসে অনুষ্ঠিত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর এই স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সত্যবাণীর বার্তা সম্পাদক, সাংবাদিক নিলুফা ইয়াসমীন। অনুষ্ঠানে আবদুল গাফফার চৌধুরীর স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রিটেনে মুক্তিযুদ্ধের প্রবীন শীর্ষ সংগঠক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন তনিমা চৌধুরী ও মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেইন।

আবদুল গাফফার চৌধুরীর জীবনের শেষ লেখা গানের মাধ্যমে সংগীত পরিবেশন করেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, বিশিষ্ট গণসংগীত শিল্পী হিমাংশু গোস্বামী। কবিতা আবৃত্তি করেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উর্মী মাজহার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সুলতান শরীফ তার বক্তব্যে গাফফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা বাংলা ভাষা ধ্বংস করতে চেয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মানুষদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।

তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশ রক্ষার জন্য কাজ করেছেন, লেখনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দেশের মানুষের আবেগ তৈরি করার কাজ করেছেন। তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন তার নিজস্ব কর্মগুণে।

এ স্মরণসভায় আবদুল গাফফার চৌধুরীর মেয়ে তনিমা চৌধুরী স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার বাবাকে প্রথম কাঁদতে দেখি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর। বাবা চিৎকার করে কেঁদেছেন। বাবার বিশ্বাসের জায়গাটা অটল ছিলো। যা বিশ্বাস করতেন তাই লিখতেন। অন্যের বিশ্বাসে বা চিন্তায় প্রভাবিত হতেন না। একজন মানুষই তাকে প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিলেতে মুক্তিযুদ্ধের আরেক সংগঠক, ষাটের দশকের ছাত্রনেতা ও জে সি ডাব্লিউ আই এর সাবেক চীফ এক্সিকিউটিভ হাবিব রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন সাংবাদিক আবু মুসা হাসান, বিবিসি বাংলার সাবেক সাংবাদিক উদয় শংকর দাস, সাপ্তাহিক জনমত এর প্রধান সম্পাদক, সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা, লেখক সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেত্রী হুসনা মতিন, সাংবাদিক আ স ম মাসুম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজিয়া বেগম, আমরা একাত্তর এর যুক্তরাজ্য সংগঠক সত্যব্রত দাস স্বপন, চলচ্চিত্রকার মোস্তফা কামাল, লেখক মঈনুর রহমান বাবুল, মোঃ আব্দুল আজিজ, কিটন সিকদার, জামাল আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম খান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, নির্মূল কমিটির শাহ বেলাল, নজরুল ইসলাম অকিব, মুজিবুল হক মনি, সৈয়দ হিলাল সাইফ, শম্পা দেওয়ান, আব্দুল বাসির, নাজমা হুসেন , জুবায়ের আহমদ ও সাংবাদিক রুমানা রাখি।

সভায় আবদুল গাফফার চৌধুরীর নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল ও ঢাকায় একটি সড়কের নামকরণ এবং উনার নামে স্মৃতি পরিষদ গঠনের দাবি জানানো হয় তাঁর স্মরণ সভার সর্বসম্মত এক প্রস্তাবে।অমর একুশের গানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়