শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৩, ০৯:১১ রাত
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০২৩, ০৬:২৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খোঁজ মিলেছে আরাভের স্ত্রী পুলিশ হত্যার আসামি কেয়ার

আরাভ খান

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করে সারাদেশে আলোচনায় আসেন পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। সম্প্রতি তার দোকান উদ্বোধন করেছেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বা দূর থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন দেশ-বিদেশের অনেক তারকা। চ্যানেল ২৪

মেহেরপুরে আরাভ খানের স্ত্রীর খোঁজ মিলেছে। তার নাম সুরাইয়া আক্তার কেয়া। তার বাড়ি গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে। সেও ওই পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে শাহিন নামের একজনকে বিয়ে করে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন কেয়ার বাবা আবুল কালাম আজাদ।

বাবা আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘কেয়ার মা তার খালাতো বোন। বাড়ি তার পাশের বাড়িতে। তার নাম মনোয়ারা বেগম। ১৯৯৬ সালে মনোয়ারা বিএ পাশ করেন। এরপর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসার জীবন ভালোই চলছিল। কিন্তু ২০০০ সালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি মামলায় জেল হয় আবুল কালাম আজাদের। তখন কেয়ার বয়স মাত্র ৩ বছর। মাঝে মাঝে মেয়েকে নিয়ে তাকে জেলখানায় দেখতে যেতেন তার স্ত্রী। কিন্তু দীর্ঘদিন জেলে থাকার কারণে তাদের সংসারে ফাটল ধরে। এরই মাঝে বড় হতে থাকে কেয়া। ২০১১ সালে জেল থেকে বের হয়ে আসেন আবুল কালাম। এসে শোনেন তার স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেয়নি। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও পারেননি।’ 

‘স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বিয়ে করেন উজলপুর গ্রামে। পরে তারা ঢাকায় চলে যান। ২০১৩ সালে এসএসসি পাশ করে কেয়া। তার মা তাকে বাবার অমতে ভর্তি করে দেন ঢাকার একটি ম্যাটস কলেজে। সেখানে চিকিৎসা বিদ্যায় ডিপ্লোমা করতেন কেয়া। তারপর থেকেই মেয়ের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ ছিল না আবুল কালামের।’

তিনি আরও জানান, ‘ঢাকায় ভর্তি হবার কিছুদিন পরই শুনতে পান তার মেয়ে সম্পর্কে জড়িয়েছেন আপন নামের এক জুয়েলারী ব্যবসায়ীর সঙ্গে। একপর্যায়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। ২০১৪ ও ১৫ সালে স্বামী আপনকে নিয়ে দুইবার গাড়াডোব গ্রামে তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসেন কেয়া। তখন বিলাসবহুল জীবন যাপন করতো তারা। কিন্তু বিভিন্ন মারফত সে জানতে পারে তার মেয়ে ও জামাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এরপরই কিছুদিন যেতে না যেতেই খবর আসে কেয়া একটি পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। পরে জেলেও যেতে হয় কেয়াকে। এসময় আপন তালাক দেয় তাকে। দীর্ঘ কয়েক বছর হাজত বাস করার পর ২০২২ সালে জামিনে মুক্তি পায় সে। পরে সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের শাহিন নামের এক যুবককে বিয়ে করেন কেয়া। তারপর পরই সে স্বামীর সঙ্গে মালয়েশিয়ায় চলে যায়।’

‘তবে মেয়ের এমন কর্মকাণ্ডে মোটেও খুশি নন আবুল কালাম। তিনি আরও বলেন, ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম কেয়ার মাকে। ইচ্ছে ছিল সারাজীবন একসঙ্গে পার করবো। কিন্তু স্ত্রীর খামখেয়ালীপনায় তার মূল্য দিতে হলো মেয়েকে। তার কারণেই মেয়ে এখন হত্যা মামলার আসামি। সে নিজে গোভিপুর গ্রামে একজনের সঙ্গে বিয়ে করে সংসার করছে। আর মেয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বোঝা মাথায় নিয়ে প্রবাসে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এজন্য দায়ী তার মা নিজেই।’ 

‘তবে কোনো আক্ষেপ নেই আমার। আমি একজনকে বিয়ে করে সংসার করছি। তবে মেয়ের জন্য দুঃখ হয়। কারণ নিজের মেয়েকে তো আর অস্বীকার করতে পারি না’ বলে তিনি জানান।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সুরাইয়া আক্তার কেয়া একটি হত্যা মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছে পুলিশ। তার সম্পর্কে অনেকেই ভিন্ন ধরনের তথ্য দিচ্ছে। কেউ বলছেন, দুবাই আছে আবার কেউ বলছেন মালয়েশিয়া আছে। তবে পুলিশ হত্যা মামলায় সে জামিনে ছিল।’

এসসিডি/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়