শিরোনাম
◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২৩, ০৫:৩৯ বিকাল
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৩, ০৫:৩৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাতের আঁধারে সাংবাদিককে তুলে নেওয়া রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শামিল: ইউট্যাব

ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান

রিয়াদ হাসান: মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাতে দৈনিক প্রথম আলোর সাভারের প্রতিনিধি শামসুজ্জামানকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ তথা সিআইডি'র সদস্যরা সাদা পোশাকে তার সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ও কারাগারে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক বিবৃতিতে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো নাগরিককে কোনো রাষ্ট্রীয় বাহিনী এভাবে রাতের অন্ধকারে চোরাগোপ্তা কায়দায় তুলে নিয়ে যেতে পারেনা। এমনকি বা গুম করতে পারেনা। কিন্তু সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে সিআইডি পুলিশ তুলে নেওয়ার দীর্ঘ সময় পরও তার কোনো সন্ধান দেয়নি। বরং রাতের আঁধারে তার বিরুদ্ধে এবং প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে। যা অনাকাক্ষিত।

তারা বলেন, আমরা মনে করি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই ধরনের অপতৎপরতা নাগরিকদের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শামিল।

নেতৃদ্বয় বলেন, সিআইডি'র এই ধরনের তৎপরতা সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীনতারও পরিপন্থী। এসব আচরণ যে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে পরিচালিত তাও স্পষ্ট। আসলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না তার আরেকটি উদাহরণ হলো সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়া এবং রাতের বেলায় মামলা দায়ের করা।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা আরো বলেন, সাংবাদিক শামসুজ্জামানের প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক মিনিট পর পত্রিকার অনলাইন থেকে প্রত্যাহার ও দুঃখ প্রকাশ করার পর এখন তার আটক ও হয়রানি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের আর এক ঘৃণ্য নজির হয়ে থাকবে। আমরা অবিলম্বে শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবির পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা ও নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

আরএইচ/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়