শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:৪৩ বিকাল
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৫:৪৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চবিতে ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিন পালনে না যাওয়ায় সাংবাদিককে মারধর 

জিল্লুর রহমান (চবি প্রতিনিধি) : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিন পালন করতে না যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কর্মরত এক সাংবাদিককে মারধর করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ.এফ. রহমান হলের ২১২ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না’ বলে হুমকিও দেন কর্মরত এ সাংবাদিককে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক রেদওয়ান আহমদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি ঢাকা মেইল ও দৈনিক নয়া শতাব্দীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাট্যকলা বিভাগের আবু বকর সিদ্দিক, একই শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের আরশিল আজিম নিলয় এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শোয়েব আতিক। এদের প্রত্যেকেই শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী।

রেদওয়ান আহমদ বলেন, রাতে নাহিদুল ইসলাম নাহিদ নামে ২০-২১ সেশনের (ইসলামের ইতিহাস) এক ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিন ছিল। জন্মদিন পালনের জন্য আরশিল আজিম নিলয় আমার রুমে ডাকতে আসেন।

আমি যখন সাংবাদিক পরিচয় দিলাম, তারা আমাকে বললো- ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না। এরপর আরশিল আজিম নিলয় তার সঙ্গে থাকা শোয়েব আতিককে মারধর করার নির্দেশ দেন।

শোয়েব আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করলে আমি সঙ্গে সঙ্গে বিজয় গ্রুপের নেতা আল আমিন ভাইকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। তিনি তাদের নিষেধ করার পরও সে আমাকে আরও দুই দফায় মারধর করে।

তবে আবু বকর ভাই শুধু ঘটনাস্থলে ছিলেন, তিনি আমাকে মারধর করেননি। এ সময় ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের আরও দশ পনেরো জন কর্মী উপস্থিত ছিল।

এ বিষয়ে জানতে শোয়েব আতিক ও অভিযুক্ত আরশিল আজিমকে নিলয়কে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাদের কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি কিছুই করিনি। শুধু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।

বিজয় গ্রুপের নেতা আল আমিন বলেন, ঘটনার সময় রেদওয়ান আমাকে কল দিয়েছিল। আমি নিষেধ করার পরও তারা ওর গায়ে হাত তুলেছে। সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলা আমরা কখনোই সমর্থন করি না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি৷

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনও ছাড় দেবো না। কিছুদিন আগেও সাংবাদিকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা ঝামেলা করেছিল। আমরা অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রশাসন শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়া আর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এবার যদি অভিযুক্তদের বহিষ্কার না করে, তাহলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসি। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নিয়মানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: আল আমিন 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়