রায়হান চৌধুরী, চকরিয়া: [২] কক্সবাজারের চকরিয়ায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিন সাংবাদিকের উপর  হামলার ঘটনায় চকরিযা থানায় মামলা রুজু করা হযেছে। সাংবাদিক রিয়াদ উদ্দিন বাদী হওয়া মামলায় আসামি করা হয়েছে বরইতলি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড়ের পশ্বিম হিন্দু পাড়ার কিশোর গ্যাং সদস্য শ্যামল দাশের পুত্র অপু দাশ, রতন আশ্চর্য্যের পুত্র প্রান্ত আশ্চর্য্য, অরুন দাশের পূত্র বসু দাশ ও  নিপুল দাশ,রতন দাশ, রাসেল দাশের স্ত্রী  তমা দাশ, নিপুল দাশের স্ত্রী ড়েজি দাশ, জাদব দাশের স্ত্রী ঝর্না দাশ, দিপুল দাশের পুত্র দিপংকর দাশ, মৃত হনমহন দাশের পুত্র সুরনজিৎ দাশ,আশুতোষ দাশের পুত্র রিংকু দাশ, সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।

[৩] মামলার বিবরণে জানা যায়, স্থানীয় লিটন দাশের জায়গায় ১৪৪ ধারা অমান্য করে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তব্যরত তিন সাংবাদিক জাতীয় দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের চকরিয়া প্রতিনিধি এম রায়হান চৌধুরী, দৈনিক জবাবদিহির চকরিযা প্রতিনিধি আবদুল করিম বিটু ও এন এএন টিভির স্টাফ রিপোর্টার রিয়াদ উদ্দিন তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থল বরইতলি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড় পশ্বিম হিন্দুপাড়ায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে আগে থেকে উৎপেতে থাকা রাসেল দাশের স্ত্রী তমা দাশ অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে লাঠি ও ইট নিয়ে মারতে থেড়ে আসে,পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কর্তব্যরত সাংবাদিক গন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে চাইলে এলাকাবাসী ও নির্মাণ কাজেরত শ্রমিকদের সাথে নিয়ে লোহার রড় দেশিয় অস্ত্র শস্ত্র, দা-কোড়াল, লাঠি নিয়ে পথ রোধ করে হামলা চালায়।

[৪] হামলায় সাংবাদিক রিযাদ উদ্দিন গুরুতর আহত হলেও বাকি দুই সাংবাদিক কম বেশি আহত হন। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর হারবাং ফাড়ির আইসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন।

[৫] চকরিয়া থার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান ঘটনা জানার পরপর পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিকদের উদ্ধার করি এবং এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে, জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
 
[৬] এই হামলার ঘটনায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, প্রসাশন, জনপ্রতিনিধিরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে জড়িত আসামিদের দ্রত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস