মিহিমা আফরোজ: আগামী ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এই পুরস্কার প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আয়োজকরা বলেছেন, মঞ্চ নাটকের অভিযাত্রায় মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, ইশরাত নিশাত তাদের মধ্যে অন্যতম। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। একজন নাট্যকর্মী হিসেবে থিয়েটারের প্রতি তার অবদানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবর্তন করা হয়েছে ‘ইশরাত নিশাত নাট্য পুরস্কার’। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। মঙ্গলবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুরস্কার বাস্তবায়ন কমিটির কো-চেয়ারপারসন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। এরপর পুরস্কারের লোগো উন্মোচন ও ক্রেস্ট ডিজাইন প্রদর্শন করা হয়। নমিনেশন ঘোষণা করেন জুরি বোর্ডের প্রধান প্রফেসর আব্দুস সেলিম প্রধান। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পুরস্কার বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক সেলিনা শেলী। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস, ড. ইউসুফ হাসান অর্ক, লাকি ইমাম ও মাসুম রেজা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুরস্কারটি মূলত ৮টি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হবে। ক্যাটাগরিগুলো হলো শ্রেষ্ঠ নাট্যকার, শ্রেষ্ঠ আলোক পরিকল্পনা, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (পুরুষ), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা(নারী), শেষ্ঠ সঙ্গীত পরিকল্পনা, শ্রেষ্ঠ নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ মঞ্চ পরিকল্পনাকারী এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা। প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে তিনজন করে নমিনেশন পেয়েছেন।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেছেন, প্রাথমিকভাবে আমরা এই কার্যক্রমটি শুরু করেছি। তবে আগামীতে আমরা এটিকে আরও প্রসারিত করার চেষ্টায় রয়েছি। আমরা পরবর্তীতে পুরস্কারের ক্যাটাগরি বৃদ্ধি করব। আমরা চাই থিয়েটারকর্মীরা যাতে এটির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আরও কাজ করার উৎসাহ পান।
নাট্যব্যক্তিত্ব মাসুম রেজা বলেন, থিয়েটারের ক্ষেত্রে একজন নাট্যকর্মী তার সারা জীবনের অর্জনের জন্য একবার পদক পেয়ে থাকেন। কিন্তু তার কাজের প্রতিবারের মূল্যায়ন থিয়েটারে হয় না। এজন্য আমরা চেয়েছি প্রতিবছর পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে নাট্যকর্মীর কাজকে মূল্যায়ন করা হোক ‘ইশরাত নিশাত নাট্য পুরস্কার’ জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জন করুক। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এমএ/এসবি/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :