সালেহ্ বিপ্লব: ‘প্রাণে প্রেমে রবীন্দ্র নজরুল’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করলেন রবীন্দ্র ভারতী প্রাক্তণী, বাংলাদেশের শিল্পীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে তাঁদের স্মরণ করা হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ড. ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কর্মময় জীবন এবং তাঁদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আলোচনা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
তিনি বলেন- রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে ঔপনিবেশক শাসন-শোষনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার পাশাপাশি বীর বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বতন্ত্র মানচিত্রের ছবি এঁকেছিলেন। রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় যে মানচিত্রকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের রুপ দেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাঃ দীপু মনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে রবীন্দ্র-নজরুলের অবদান এবং সমকালিন প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ‘রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী’র অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্র ভারতী প্রাক্তণীদের বাংলাদেশ এবং ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশনকে অনবদ্য উল্লেখ করে আয়োজকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর লেখা দু’দেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের পারস্পারিক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। নজরুলের লেখনী বাঙালি জাতিকে জেগে ওঠার ক্ষেত্রে প্রেরণা যুগিয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমত আলী। জন্মজয়ন্তীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বে রবীন্দ্র ভারতী’র প্রাক্তণীরা রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের লেখা গান, নাচ ও কবিতা পরিবেশন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :