এস ডি অয়ন: [২] ছোটবেলায় থেকেই আঁকাআঁকি করতে পছন্দ করতো নবী নূর। তাই অঙ্কনকেই বেছে নিয়েছেন নিজের পেশা হিসেবে। হাতের কাছে যা পেতেন তা দিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো এঁকে যেতেন। পড়াশোনায় তেমন ভালো কিছু করতে না পারলেও অঙ্কও শিল্পী হিসেবে সে ছিলেন পারদর্শী।
[৩] নবী নূর নিজেই আর্টের দোকান খুলেন। এখন সেই আর্টের দোকান থেকে অর্ডার আসছে দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ইউরোপের দেশগুলো থেকে। নবী নূরের আর্টের দোকান তার বাড়ির পাশেই, তার দোকানের নাম নব নূর আর্ট। ঢাকাপোস্ট
[৪] নবী নূর আপন মনে গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্য এঁকে চলেছেন। অঙ্কনের ফাঁকে তিনি জানান, যে দৃশ্যটি তিনি আকঁছেন সেটির অর্ডার এসেছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে। আঁকা শেষ হলে সেটি তিনি সেদেশে পাঠিয়ে দেবেন। তিনি আরও জানান, শুধু লন্ডনই নয়, ভারত, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রেও তিনি তার একাধিক অঙ্কন পাঠিয়েছেন।
[৫] নবী নূর বলেন, আকাঁআঁকি আমার কাছে নেশার মতো। এটা ছাড়া অন্য কিছু ভালো লাগে না। আঁকার জন্য পরিবার ও অনেক মানুষের নানান কথা শুনতে হয়েছে। তবুও আঁকাআঁকি ছাড়িনি। তিনি বলেন, রংপুর শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আর্টের প্রতিযোগিতায়ও প্রথম হই। বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজ আসতো, ভালোই চলছিল। কিন্তু এখন ডিজিটাল পদ্ধতি আসার কারণে আমার মতো অনেক আর্টিস্টদের কাজ অনেক কমে গেছে।
[৬] আর্টিস্ট নবী নূরের প্রতিবেশী লিমন মিয়া বলেন, নবী নূর একজন ভালো আর্টিস্ট। অনেকদিন থেকে দেখে তিনি অনেক ভালো আর্ট করেন। অনেক দূর থেকেও মানুষ আসে তার কাছে আর্ট করে নেওয়ার জন্য। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি তার কাছে একাধিকবার অঙ্কন করে নিয়েছেন। এখন শুনছি তিনি বিদেশেও তার অঙ্কন পাঠাচ্ছেন।
[৭] রংপুর শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার নুঝাত তাবাসসুম রিমু বলেন, সারাদেশেই আর্টিস্টদের এখন দুরাবস্থা চলছে। তবে পেশাদার আর্টিস্টদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অনুদানের ব্যবস্থা আছে। যে সকল আর্টিস্টদের বয়স ৪০ এর বেশি তারা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে এ অনুদান পাবেন। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :