ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বলেন, নৌকার ভোট মানে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভোট। নৌকার ভোটাররা বঙ্গবন্ধুকন্যার সমর্থক। শেখ হাসিনার ভক্ত। আমি একটা দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র। আমি জনগণের কাছে ভোটটা চাই সব শেষে, আগে তাদের সমস্যার কথাগুলো শুনি। তাদের সংকট জানতে, বুঝতে চেষ্টা করি। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তাদের কাছে পরামর্শ নিই।
[৩] আমাদের নতুন সময়কে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিয়মিত জনগণের কাছে গিয়েছি। প্রচণ্ড সাড়া পেয়েছি। ঢাকা-১৭ আসনে ৩ লাখ ২৫ হাজার হাজার ভোটার, এর মধ্যে ৪৬ থেকে ৪৭ হাজার ভোটার অভিজাত এলাকার। বাকি সব ভোটার কালচাদপুর, শাহাজাদপুর, করাইল আদর্শনগর, ভাষানটেক, সাততলা, মানিকদিসহ ইত্যাদি এলাকার। ওই সব এলাকার লোকজনই বলছেন, ৮০ শতাংশ ভোটারই নৌকার। বংশ পরম্পরায় তারা নৌকাকেই সমর্থন করেন। ভোট দেন।
[৪] মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ। ভোটে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ছিলোও না। আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত করে পরাজিত করা হয়েছে। জনগণের ভোটে, জনগণের সমর্থন নিয়ে কখনো আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা হয়নি।
[৫] তিনি বলেন, পাঁচ মাসের জন্য নির্বাচন। মানুষের মধ্যে একটা অনাগ্রহ থাকতে পারে। এটাই আমার প্রতিবন্ধকতা। মানুষ কীভাবে আগ্রহী করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসা যায়, এই চেষ্টায় আমি ফোকাস করেছি। আর কোনো কিছু চিন্তা করছি না। নির্বাচনটা যাতে সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।
[৬] আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত, যারা মানুষকে দেখাতে চান নির্বাচন হচ্ছে না। ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা আসেন না। ভোট দেন না। সেখানেই বিএনপি-জামায়াত পরাজিত হয়েছে। আমার বিপরীতে বিএনপি-জামায়াতের সরাসরি প্রার্থী না থাকলেও ৭-৮ জন প্রার্থী আছেন। মানুষের আগ্রহ না থাকলে তারা কেন নির্বাচন করতে এসেছেন?
[৭] তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে গুলশান, বনানী, বারিধারা, নিকেতন আছে, এটা ঠিক। এখানে ডেপ্লোম্যাটিক জোনও আছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সব বড়লোক ও বিজনেস লিডাররা থাকেন। করপোরেট লিডাররা থাকেন। কিন্তু এই এলাকা থেকে যিনি নির্বাচিত হন, তিনি অভিজাতদের ভোটে নয়, ইলেকটেড হন নিম্ন আয়ের মানুষ, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রশ্রেণির ভোটারদের ভোটেই। বস্তিবাসীর ভোটে।
[৮] আরাফাত বলেন, প্রতিটি এলাকার আলাদা আলাদা চাহিদা আছে। সমস্যাগুলো একইরকম নয়, এলাকাভিত্তিক আলাদা আলাদা চাহিদা আছে। চাওয়া আছে। তাদের চাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাকে কাজগুলো করতে হবে। তবে এতোটুকু নিশ্চিত থাকুন সব সমস্যার একটা তালিকা আমরা করেছি। শুধু তালিকাই নয়, হোমওয়ার্ক করা হয়ে গেছে।
[৯] আমি কোনো মিথ্যা আশ্বাস দিই না। তবে আমি বলেছি, আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে কাজ শুরু করে দেবো। যাদের কাছে ফাইলগুলো আছে, সেগুলো বের করে নিয়ে যতোটুকু শুরু করা যায়। ৫ মাস পর নতুন নির্বাচন, যদি মনোনয়ন পাই, এলাকাবাসীকে বলেছি, যদি আপনারা আমাকে আবারও সুযোগ দেন, আপনাদের কাজ করে যাবো। সকাল বেলা ওঠে বোঝা যায়, বাকি দিন কেমন যাবে, নির্বাচিত হলে ৫ মাসে আমার কাছ থেকে ওটাই এলাকাবাসী দেখতে পাবেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
ভিএআর/এসবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :