রাশিদুল ইসলাম: [২] দীর্ঘদিন হারিয়ে যাওয়া পাকিস্তানি সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় একটি ভারতীয় ডেস্ট্রয়ার পাকিস্তানি সাবমেরিনটি আক্রমণের পর তা নিমজ্জিত হয়। আরটি
[৩] পাকিস্তানের সাবমেরিন পিএনএস গাজীর ধ্বংসাবশেষটি ভারতীয় নৌবাহিনীর গভীর নিমজ্জন উদ্ধারকারী যান (ডিএসআরভি) ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে প্রায় ১০০ মিটার গভীরতায় খুঁজে পায়। তবে ভারতের হতাহতের ঘটনা এড়ানোর জন্যে সাবমেরিনটির ধ্বংসবশেষ উত্তোলন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর গাজীর ডুবে যাওয়া যুদ্ধের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসাবে বিবেচিত হয়।
[৪] গাজীকে ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচি থেকে পাঠানো হয়েছিল এবং দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের একটি বন্দর শহর ভাইজাগের উপকূলে পৌঁছানোর জন্য ভারতীয় উপদ্বীপের চারপাশে ৪,৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিল সাবমেরিনটি।
[৫] জাহাজটিকে ভারতের পূর্ব সমুদ্র তীরে মাইন স্থাপনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। নয়াদিল্লির প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তকে ধ্বংস করার লক্ষ্যও ছিল সাবমেরিনটি। তবে এসব লক্ষ্য অর্জনের আগেই তা ডুবে যায়। ভারত গাজীকে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য টক-নির্মিত নৌ-ধ্বংসকারী আইএনএস রাজপুতকে কৃতিত্ব দেয়। ভারতীয় এ ডেস্ট্রয়ারের ক্রুকে পরবর্তীকালে বীরত্ব পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। অন্যদিকে পাকিস্তানের নৌবাহিনী দাবি করেছে যে সাবমেরিনটি ‘দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণের’ কারণে ডুবে গেছে।
[৬] গাজী ছাড়াও, ভারতের ডিএসআরভি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডুবে যাওয়া একটি জাপানি সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষও খুঁজে পেয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :