জাফর খান: বুধবার সৌদি অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান বলেছেন, খুব দ্রুতই এই বিনিয়োগের সিদ্ধানটি কার্যকর করা হবে। দুই সপ্তাহ আগে চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হবার পরে এমন ঘোষণা যেন নতুন আরেকটি চমকের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতক বিশ্লেষকরা। রয়টার্স
বেসরকারী শিল্প পর্যায়ের এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইরানে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। সম্পাদিত চুক্তির আওতায় এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বিষয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখছিনা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত সৌদির এমন সিদ্ধান্তে বেশ অস্বতিতে রয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এর আগে সাংবাদিক হ্যাডলে গেইমলেকে আল-জাদান বলেন, আমরা এ বিষয়ে দুই দেশের নেতৃবৃন্দ পর্যায়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছি। নীতিগতভাবে আমরা সহমত পোষণ করেছি। দেশ দুটির জনগণের কল্যাণে আমরা কাজ করে যেতে চাই। সিএনবিসি
এদিকে এ বিষয়ে সৌদির রাজনৈতিক বিশ্লেষক নাজাহ আল ওটাবি এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ইরানের সৌদির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
এর আগে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তির আওতায় বহিঃশত্রুর আক্রমণ মোকাবেলা, আন্তঃসহোযোগিতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক স্থবিরতা , ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননের মধ্যে তেল সংক্রান্ত বিরোধ সমস্যা সমাধানের বিষগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মিডল ইষ্ট আই রয়টার্সকে আল- জাদান বলেন, এই বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে আমাদের নিশ্চিত কতে হবে উভয় দেশই লাভবান হচ্ছে।
এছাড়াও ২০০১ সালে নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি ও ১৯৯৮ সালে করা সাধারন সহযোগিতা চুক্তিগুলোকেও পুনরজ্জীবিত করার পরিকল্পনাও করছে দুই দেশের রাষ্ট্র প্রধান বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম সিএনবিসি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ইরানের এক শিয়া নেতা নিমরকে সৌদি সরকার ফাঁসি দিলে কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তেহরান। এছাড়াও ২০১৫ হতে চলমান ইরান সমর্থিত ইয়েমেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হলে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। আর একই বছরে মক্কায় হজে গিয়ে পদলিত হয়ে প্রাণ হারান ইরানের কয়েকশ হাজী। অন্যদিকে ২০১৯ সালেও সৌদির তেল সমৃদ্ধ অঞ্চলে মিসাইল ও ড্রোন হামলার কারণে তেহরানকে দায়ী করে দেশটির সরকার । তবে তা অস্বীকার করেছিল তেহরান। আর এসব কিছু মিলিয়েই নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা ঘোলাটে হয়ে আসতে শুর করে দুই দেশের মধ্যে। মিডল ইষ্ট আই
জেকে/এএ
আপনার মতামত লিখুন :