শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩, ১২:০৭ দুপুর
আপডেট : ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৫৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর গাজায় একজন ‘আলীবাবা’ 

আলীবাবা

ইমরুল শাহেদ: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার আলীবাবা হিসেবে পরিচিত লেখক আল-আমুদি সকাল হলেই রঙিন পোশাক আর হাতে বই নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। গাজার অলিগলি ঘুরে আসেন তার প্রতিদিনকার ঠিকানা রাফায়। ততক্ষণে সেখানে হাজির হয়ে যায় একঝাঁক শিশু-কিশোর। উদ্দেশ্য ‘আলিবাবার’ কাছে রূপকথার গল্প শোনা। রয়টার্স

তিনি বলেন, ‘একজন গল্পকার হিসেবে আমি শিশুদের গল্প শোনাই, যাতে মুক্ত জীবনের কিছুটা স্বাদ পায়। তাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি। তারা নতুন নতুন রুপকথার গল্প শুনতে পছন্দ করে। আপনারা সবাই গাজা পরিস্থিতি কি। সুতরাং গল্পগুলো তাদের মানসিক প্রশান্তি হিসেবে কাজ করে।’ ইয়াহু

প্রতিদিন একঝাঁক শিশু-কিশোরকে তিনি রূপকথার গল্প শুনিয়ে আসছেন নিয়মিত। আর সেই আড্ডায় সামিল হয়ে, কিছুক্ষণের জন্য হলেও দুর্বিষহ জীবনের কথা ভুলে থাকছে কোমলমতি শিশুরা।

টেইমার ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিটি আয়োজিত নাচ-গানের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি গল্প শোনানোর কাজ করেন। আলীবাবার শিশু-কিশোরদের একজন ১৩ বছরের মিন্না হাসোনা বলেন, ‘প্রথম দিকে আমি চমকিত হয়েছি। আলীবাবাকে প্রথমদিকে আমি দেখেছি কার্টুনে। কিন্তু যখন তাকে দেখলাম তখন মনে হলো কার্টুনের আলীবাবা বাস্তবে আমাদের সামনে এসেছে। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি, গল্প শুনেছি এবং তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছি। আমি খুশি যে তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেন।’

আল-আমুদিকে গাজার কোমলমতি শিশুরা চেনে আরব্য রজনীর আলিবাবা নামেই। ৩০ বছর বয়সী আমুদিও খুশি নিজের এই পরিচয়ে। শিশুদের রূপকথার গল্প শোনানোকেই তিনি বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে।  মূলত ছোটবেলায় দাদার কাছে গল্প শুনেই শিশুদেরকে গল্প শোনানোর এই কাজে উদ্যোগী হন আল-আমুদি। গল্পের মধ্য দিয়ে নিজের জীবনের নানা অভিজ্ঞতাও শিশুদের সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি।

আমুদি রয়টার্সকে বলেন, শিশুদের সঙ্গে যেসব গল্প আমি শেয়ার করি তাতে জীবনের নানা অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়। তারাও তাদের গল্পের হিরো আর চরিত্রগুলোর মধ্যে ডুবে গিয়ে একটু হলেও দুর্বিষহ জীবনের কথা ভুলে থাকে। গল্পগুলো হৃদয়ে ধারণ করে। 

আল-আমুদি জানান, গাজার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে শিশুদের যেসব গল্প তিনি শোনান সেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা। তার বিশ্বাস, একদিন ফিলিস্তিনিবাসীর দুঃখ-দুর্দশার কাহিনীও তিনি শোনাবেন পৃথিবীর অন্য কোনো প্রান্তে।

আইএস/এইচএ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়